মো:রিপন হাওলাদার
(স্টাফ রিপোর্টার বেতাগী-বরগুনা)

বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নে অপকর্ম যেন নিত্য দিনের সঙ্গ। চাল চুরি, ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন বিম চুরির পর এবার ছুরি মেরে যুবককে হত্যা করল ৪০ বছরের মুনসুর বেপারী। ৩০ শে মার্চ মাসের শেষ দিনে ঘটে যায় বিভিষিকাময় ঘটনা। প্রতিবন্ধিকে গণধর্ষন করা হলেও তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই প্রশাসনের। কারন এতে জড়িত এলাকার বেশ কয়েকজন রাঘভ বোয়াল। এরপরপরই ঘটতে থাকে চাল চুরি ও বিম চুরির ঘটনা। একেরপর পর এক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার প্রকাশ্যে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয় ১৯ বছরের সালাহউদ্দিন সাল্লুকে। ভোরেই প্রধান আসামী মুনসুর বেপারীকে তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বেতাগী থানা পুলিশ। নিহত যুবক সালাহউদ্দিন (১৯) মোকামিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বেতাগী সরকারি কলেজের ছাত্র। বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণ জানতে গেলে মুনসুর বেপারী তার পেটে ও পিছনে ছুরির আঘাত করলে মারা যায় সালাহউদ্দিন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন তিনি। যুবক বয়সে পরিবারের হাল ধরতে হয় তাকে। এলাকায় নম্র ভদ্র সাল্লু হিসেবে পরিচিত। বৃদ্ধ বাবা-মার শেষ বয়সের ভরসার স্থল ছিল। শুধু তাই নয় অনিশ্চিত হয়ে পড়তে ছোট বোনের পড়ালেখা। সে এসএসসি পরিক্ষার্থী। পথে পথে ভিক্ষা করার সময় চলে এসেছে বৃদ্ধ বাবা-মারর। হত্যা মামলা চালানোর ক্ষমতাটুকুও নেই পরিবারের। এমনটাই দাবি স্বজনদের। পুলিশ ও নিহত সালাহউদ্দিনের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, সন্ধ্যার পর দিকে মোকামিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় জাহাঙ্গীরের চায়ের দোকানের পাশের রাস্তায় দাড়িয়ে বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণ জানা নিয়ে তর্কে জরিয়ে পড়ে সালাহউদ্দিন ও মুনসুর বেপারী। আসেপাশে লোকজনের উপস্থিতি বাড়লে হঠাৎ একটি ছুরি বের করে সালাহউদ্দিনের পেটে ও পিছনের দিকে আঘাত করে পালিয়ে যান তিনি। পরে মুমর্ষু অবস্থায় বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এহেন হত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তার সহপাঠী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ। তিনি বলেন “দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ করে আসছে। ওর পরিবারের খরচ ওকেই জোগাড় করতে হত। ওর মৃত্যুতে পুরো পরিবার আজ অসহায়। বেতাগী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত মুনসুর বেপারীকে রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!