সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টার

স্বাধীনতার ৫১ বছর পর নির্মিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এলজিইডির ৪কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে তিনটি স্প্যান বিশিষ্ট ৪২ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৫ মিটার প্রস্থের ব্রীজটি নির্মিত একটি ব্রীজ বদলে দিয়েছে নওখাঁদা গ্রামের কাটাবাড়ির খালে বিভক্ত ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র।

জানা যায়, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নওখাঁদা গ্রামের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে কাটাবাড়ি খাল। সেই খালের দুইপাড়ের রয়েছে তাড়াশ উপজেলার নওখাঁদা, হেমনগর, ইশ্বরপুর,ধামাইচ, বিন্নাবাড়ি, কাটাবাড়ি, সবুজপাড়া, চরকুশাবাড়ি, নাদোসৈয়দপুর ও পশ্চিম অংশে নাটোর জেলার গুরুদাশপুর উপজেলার খুবজিপুর, ব্রামণখোলা, তিতলাসহ ১০টি গ্রাম। এ সকল গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে ‘বর্ষায় নাও আর শুস্ক মৌসুমে পা’-নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আটকে ছিল।

সেই দুদর্শা লাঘবে কাটাবাড়ি খালের ওপর স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো. আব্দুল আজিজের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ও তার সফল প্রচেষ্টায় তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের একটি ব্রীজ নির্মাণ করায় উম্মোচিত হয়েছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এলজিইডির ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনটি স্প্যান বিশিষ্ট ৪২ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৫ মিটার প্রস্থের ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছে। এতে করে পিছিয়ে পড়া ১০ গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এখন বর্ষাকালেও এ সকল এলাকার মানুষের জন্য পরিবহন সুবিধা গড়ে উঠেছে। সেই সাথে চলনবিল অধ্যাষিতু এই জনপদের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চিত্র বদলে গেছে।

স্থানীয় সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্রু জানান, ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এখন ব্রীজ নির্মান হওয়ায় এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি তাদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি শহরে সহজেই নিতে পারবেন। এখন আর বর্ষাকালে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। শুস্ক মৌসুমে মাথায় করে নিয়ে খাল পাড় হতে হবে না।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী ইফতেখার সারোয়ার ধ্রুব জানান, চলনবিলের কৃষি ও কৃষকের পরিবহন ব্যবস্থা বিবেচনায় হেমনগর খালের ওপর আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মান করা হয়। তিনটি স্প্যান বিশিষ্ট ৪২ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৫ মিটার প্রস্থের ওই ব্রীজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একই সাথে গরু/মহিষের গাড়িসহ যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো. আব্দুল আজিজ বলেন, বিলপাড়ের মানুষ বর্ষাকালে নৌকায় আর শুস্ক মৌসুমে পায়ে হেটে চলাচল করতেন। তাদের দীর্ঘদিনের দু:খ,দুদর্শা লাঘবে জন্য এবং তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে কাটাবাড়ির খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমার নির্বাচনী এলাকায় সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামীতেও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে কাজ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!