এইচ এম সালেহ আহমদ
নির্বাহি বার্তা সম্পাদক
কালামে পাকে তিলাওয়াতের বিশেষ তিনটি উপকারিতা রয়েছে। যথা মনের ময়লা দূর হয় ও কলব পরিষ্কার হয়। আল্লাহ তাআলার মোহাব্বত বৃদ্ধি পায় ও নৈকট্য লাভ হয়। প্রতিটি হরফে বা বর্ণে কমপক্ষে ১০টি করে নেকি বা সওয়াব অর্জিত হয়। অর্থ না বুঝে পড়লেও নেকি বা সওয়াব হয়, অর্থ বুঝে পড়লে নেকি বা সওয়াবের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি হয়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও শ্রবণের বিশেষ আদব বা নিয়ম আছে। শ্রবণকারী মনে এই খেয়াল করবেন যে মহান আল্লাহর পবিত্র কালাম পাঠ করা হচ্ছে, তাই অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহকারে শুনতে হবে। (৭: ২০৪)। তিলাওয়াতকারী মনে এই খেয়াল করবেন যে মহান
আল্লাহ বলছেন, ‘পড়ো আমার কালাম, দেখি কত সুন্দর করে পড়তে পারো।’ তাই মহান আল্লাহকে শোনানোর জন্য পড়ছি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোরআনে কারিম তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।’ (বুখারি)। ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি প্রাপ্ত হবে, আর একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য।’ (মুসনাদে আহমাদ)। ‘যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তা অনুধাবন করল, এর হালালকে হালাল জানল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করল। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার স্বজনদের এমন দশজনকে শাফায়াত করে জান্নাতে নেওয়ার সুযোগ দেবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।’ (বায়হাকি)।