সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টার

ব্রিটিশ আমলের নীল কুটি থেকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল এর ট্রমা সেন্টারে স্থানান্তর করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিকট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা ৭ নভেম্বর ২০২২ একটি আদেশের চিঠি পাঠিয়েছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলের এ নীল কুঠিটি ব্রিটিশরা রেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহার করতো। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফিস হিসেবে ব্যবহার হতো এই নীল কুঠি। ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা গঠিত হওয়ার পর থেকে এই নীল কুঠিটি এসআইআরডিপি’র অফিসের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তার অফিসটি শহর থেকে প্রায় ৫ কিলিমিটার দুরে খোকশাবাড়ি ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে।সেখান থেকেই অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা হওয়ায় ১৯৮৮ সালের দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা (ছিয়া অফিস) নামে পরিচালিত এই নীল কুঠি থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করেন। অদ্যবধি সেখানেই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এসআইআরডিপি’র এক সাবেক কর্মচারী জানান,আমি ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ এসে এই নীল কুঠি থেকে এসআইআরডিপি’র সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। তবে এর পূর্বে অন্য একটি অফিসে এসআইআরডিপি’র কার্যক্রম পরিচালিত হতো। জীর্ণশীর্ণ এই নীল কুঠি (সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: অফিস ) এর সকল কিছুই নষ্ট হওয়ায় ফলে তা আজ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির দিনে অফিসের মালামাল ও নথিপত্রসহ সব কিছুই ভিজে যেতো। আলমিরার বাইরে রাখা নথিপত্রগুলো সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে যায়। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অনেক মালামাল ও ডকুমেন্ট নানা সময়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। আবার ঝড় বৃষ্টির সময় অফিসের কর্মচারীরা নিরাপত্তার জন্য অন্য অফিসে গিয়ে বসে থাকতেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার এই অফিসে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে বলতেন স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসই অসুস্থ্য,তার পরও অসুস্থ্য অফিস থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হতে এসেছি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা জানান, জড়াজীর্ণ অফিস থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি। এই নীল কুঠিটি এখন ব্যবহারের অযোগ্য। সামান্য বৃষ্টি হলেই অফিস করা যায় না। সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) সাংসদ অধ্যাপক ডা: হাবীবে মিল্লাত মুন্না’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ অস্থায়ী একটি অফিস পেতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আগামী মাসে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টার এর ২য় ও ৩য় তলা অফিস হিসেবে ব্যবহার করত পারবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!