জাহিদ হাসানঃ
বেনাপোলে প্রশাসন সেজে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। টাকা ছিনতাইকারী মুক্তার হোসেন (৩৪) বেনাপোল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সাদিপুর গ্রামের বল্টু শিকদার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৯ই ফেব্রুয়ারী) ফরিদপুর নগরকান্দা থানার বাসিন্দা মোঃ লিমন হোসেন (৪১) এর অভিযোগের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নং-১৫ তারিখঃ ১০/০২/২০২৩ইং। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ০৮ জানুয়ারী সন্ধ্যার সময় চেকপোষ্ট থেকে কিছু কসমেটিক্স ও চকলেট ক্রয় করে ইজিবাইক যোগে বেনাপোল বাজারে আসছিলেন। পথে মধ্যে ছোটআঁচড়া নামক স্থানে পৌছালে বেনাপোল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সাদিপুর গ্রামের বল্টু শিকদার ছেলে মুক্তার সহ আরও ২জন আমাকে ইজিবাইক সহ দাঁড় করিয়ে বলে যে “আমার নিকট গাঁজা আছে” আমি বলি আমার কাছে এসব কিছু নেই। কিন্তু তারা মানতে নারাজ আমার কাছে থাকা কসমেটিক্স ও চকলেট দেখে “মুক্তার বলে এগুলো সরকারী ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিস ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা দিতে হবে তা না হলে এগুলো দিয়ে তোকে চালান দেব”। এছাড়া সে আমাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দিয়ে আমার কাছে থাকা ২৫০০/-(দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা কেড়ে নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়।
সরেজমিনে বেনাপোল বর্ডার থেকে জানা যায়, বেনাপোলে ইমিগ্রেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছিনতাই চক্রের সিন্ডিকেট আর এ চক্রের হাতে বিভিন্ন ভবে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা। এসব সিন্ডিকেট চক্রের হোতারা কখনো সাংবাদিক,কখনো প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সহজ সরল পাসপোর্ট যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাদিপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানান, মুক্তার মূলত মাদক,চোরাচালান,হোন্ডি,পাচার,স্বর্ণ সহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। এছাড়া তার নামে হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব অপকর্ম ঢাকতে সে বর্তমানে বিভিন্ন প্রেসকার্ড ও একটি প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে যাচ্ছে। এছাড়া সে প্রশাসানের নাম ভাঙ্গিয়েও চাঁদাবাজি করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগে সত্যতা পাওয়ায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রেখেছি। বেনাপোল পোর্ট থানাধীন এলাকায় অপরাধ করে কেও পার পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!