নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়ার হাড্ডিপট্টির মাদকসম্রাজ্ঞী শাপলা ও তার ভাইকে ৭০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ও ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা সহ গ্রেফতার।

বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকা থেকে সকাল ১১.৩০ মিনিটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এর অভিজান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ও ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা সহ নব- মাদকসম্রাজ্ঞী শাপলা ও রাসেল নামের ২ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর(ডিএনসি) বগুড়া।

এজাহার সুত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ১১.৩০ মিনিটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অভিজান চলাকালে শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকা থেকে রাসেল ও শাপলা নামের দু’জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেয়ডিং পার্টির উপস্থিতিতে আসামীদের ভারা বাসা ঘেরাও করে অইন মেনে তল্লাশি চালালে ১নং আসামি শাপলার শোবার ঘরের দরজার পার্শের সিনথেটিক ব্যাগের ভেতর থেকে ৬০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ও আরেকটি সিনথেটিক ব্যাগে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা উদ্ধার ও এজাহারের ২ নং আসামি রাসেলের হাফপেন্টের পকেট থেকে ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)বগুড়া।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,আসামী শাপলা ও রাসেল আপন ভাই বোন।এদের উভয়ের পিতা:মো ফেকু।এরা দীর্ঘদিন যাবত হাড্ডিপট্টি এলাকার মোস্তর বস্তিতে ভারা বাসায় বসবাস করে আসছে।শাপলা,রাসেল ও তাদের পরিবার অতিতে রাস্তায় পরিত্যক্ত কাগজ সংগ্রহ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আরছিল।তবে মহামারি করোনার ভাইরাসের প্রাদূর্রভাবে লকডাউনের পরে থেকে তারা মাদক ব্যবসা শুরু করে।এর পর থেকেই যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যায় এই পরিবার।বর্তমানে এই পরিবার ট্যাপেন্টাডল,ফেন্সিডিল,গাজা,ইয়াবা ও প্যাথেডিনের পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আরছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান,অতিতে শাপলা,রাসেল ও তাদের পরিবার কাগজ কুরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে তারা তারা ট্যাপেন্টাডল,ফেন্সিডিল,গাজা,ইয়াবা ও প্যাথেডিনের পাইকারী ও খুচরো বিক্রয় করে আরছে।তারা আরো বলেন,শাপলার স্বামী মো: আশিক দিনে ৫-৬ হাজার পিস প্যাথেডিন বিক্রি করে আরছে।মাদক ব্যাপসার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পরে থেকে রাতারাতি ভাগ্যের রদবদল হয়েছে এই পরিবারের।বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় জমি কিনে বিলাশবহুল ২’তলা বাড়ি নির্মাণ করেছে পরিবারটি।তাদের মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করতে যেয়ে গত ২’মাস আগে তাদের পালিত সন্ত্রাসী রানা বাহিনীর দ্বারা একই এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমেটির সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো:স্বপন ইসলাম নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করিয়ে নেয় এই পরিবার।তাদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত এলাবাসী আর নষ্ট হচ্ছে আমাদের যুবসমাজ।

এ বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো:ইব্রাহিম খাঁন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ২০১৮ সালের ৩৬(১) এর ২৯(ক) ধরাই শাস্তিযোগ্য অপরাধে এবং মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জব্দকৃত নগদ অর্থ ২৬(১) ধারায় বাজেয়াপ্তযোগ্য হওয়ায় বগুড়া সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার জন্য আসামি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। যারাই মাদক ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত তাদের সবাইকে ধীরে ধীরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বগুড়া শহরের সচেতন মনল মনে করেন, মাদক আমাদের সমাজের জটিল ও কঠিন একটি ব্যাধি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাদক ব্যবসায়ীদের কারবার কমে আসলেও কিছু মাদক ব্যবসায়ী নতুন কলাকৌশল অবলম্বন এর মাধ্যমে ও অহেতুক স্থানীয় নেতাদের নাম ভাংগিয়ে আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের সঠিক হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সমাজের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!