oplus_0

নুরনবী রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার মহাস্থানগড় মাযার এলাকায় কুষ্টিয়ার কলা ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারপিট করে কলা বোঝাই ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ট্রাকের সবগুলো কলা প্রায় তিন লক্ষ টাকায় বিক্রির পর অপরাধীরা চলে গেলেও এখন পর্যন্ত কলার মালিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাক ড্রাইভার রিগান হোসেনের অভিযোগ পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের নাগরবন্দর এলাকার একটি কলা পাকানোর ঘরে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া কলা, ট্রাক এবং ট্রাক ড্রাইভারকে উদ্ধার করে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি অপহৃত কলা ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করতে পারেনি।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কলা বোঝাই ট্রাকের কলা বিক্রি করে যাওয়ার সময় কলা ব্যবসায়ীকে হাত পা বেঁধে মুখে স্কচ টেপ মেরে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ওই চক্রের সদস্যরা। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সোনাতলা থেকে একটি কাঁকড়া গাড়িতে কলা বোঝাই করে নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নয় মাইল বাজারে আসে। রাস্তায় জ্যামের কারণে বাজারে আসতে তাদের দেরী হয়। হাটবাজারের সময় শেষ হওয়ার কারণে তাঁরা সোমবার কলা বিক্রি করতে পারেনি। তারা সিদ্ধান্ত নেয় আজ মঙ্গলবার হাটে গিয়ে কলা বিক্রি করবে। অবসর সময় কাটানোর জন্য তাঁরা বেলা ২ টায় কলা বোঝাই ট্রাকসহ মহাস্থান মাযারে জিয়ারত করতে আসে। মাজারের পাশ্ববর্তী ঈদগাহ মাঠে ট্রাকটি পার্কিং করে মাযার জিয়ারত করে। বিকেল ৪টার সময় আল আমিন ও দেলোয়ার হোসেন নামে দুই যুবক সঙ্গীয় ১০/১২ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে এসে অস্ত্রের কলার মালিক ও ট্রাক ড্রাইভারকে জিম্মি করে। এক পর্যায়ে তাঁরা থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে ট্রাক ড্রাইভার ও কলার মালিককে জোরপূর্বক মহাস্থান থেকে নাগরবন্দর এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। সেখানে গিয়ে স্থানীয় কলা ব্যবসায়ী ডাবলুর নিকট ট্রাক ভর্তি কলাগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেয়। এরপর তাঁরা কলার মালিককে হাত পা বেধে, মুখে স্কচ টেপ মেরে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং ট্রাক ড্রাইভারকে ট্রাক নিয়ে চলে যেতে বলে। পরে ট্রাক ড্রাইভার বিষয়টি ৯৯৯ এ কল করে অবহিত করলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ নাগরবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া ২৮০ ছড়ি বা ঘাউর কলা ও ট্রাক উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ চোরাই কলা কেনার অভিযোগে ডাবলুকে আটক করে। তবে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলার মালিক উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, খবর পেয়েই পুলিশ লুট হওয়া কলা ও ট্রাক উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি এবং অপহৃত কলার মালিককে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!