স্পোর্টস ডেস্ক:

এশিয়া কাপের পর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—টানা দুটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। দুবাইয়ে সেপ্টেম্বরে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাবর আজমের দল। মেলবোর্নে গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও একই পরিণতি তাদের।

শিরোপাছোঁয়া দূরত্বে এসেও জিততে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদেরই একজন মোহাম্মদ আমির অধিনায়ক বাবর ও তাঁর দলকে ধুয়ে দিয়েছেন। আমির মনে করেন, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি) ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোনো উইকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি বাবরের দল। পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ নিউজ এইচডিকে ৩০ বছর বয়সী এই গতিতারকা বলেছেন, ‘ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ফাইনালে ওঠা বিশাল ব্যাপার। কিন্তু আমরা ফাইনাল খেলার যোগ্যই ছিলাম না। সবাই জানে, আমরা কীভাবে উঠেছি। ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স দেখলেই সব বুঝবেন। আগেই বলেছি, আমাদের ব্যাটসম্যানরা সিডনির বাইরে সংগ্রাম করবে। মেলবোর্নে ঠিক তা–ই হয়েছে। এটা হওয়ারই ছিল।’

লক্ষ্যটা ছোট হলেও ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে একসময় চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকের ৩৯ রানের কার্যকরী জুটি। আমিরের ধারণা, এখান থেকেই তাদের আরও চেপে ধরতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু বাবরের বাজে অধিনায়কত্বে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে ইংলিশরা, ‘বাবরকে বলছি, তুমি সাহসী সিদ্ধান্ত নাওনি। ওদের ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক শাদাবের বলে অস্বস্তিতে ছিল। পরে শাদাবই ওকে আউট করেছে। ওই উইকেটে আর্ম–বল খুব ভালো ধরছিল। এটা জেনেও তুমি মোহাম্মদ নেওয়াজকে বোলিংয়ে আনলে না কেন? বলতে পারো, আমি তোমার সমালোচনা করছি। কিন্তু যখন তুমি হারবে, এই বিষয়গুলো লুকিয়ে রাখতে পারবে না।’

পাকিস্তান সর্বশেষ বড় শিরোপা জিতেছে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের শক্তিশালী টপ অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দেন আমির। তবে বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!