ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঈদের নতুন জামা পড়া হলোনা, পাঁচফুট টিকিট হলেও যাওয়া হলো না দুবাই , চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব ধর্মপুর ইউনিয়নের আন্ধার মানিক দুবাই প্রবাসী খোরশেদুল আলমের একমাত্র মেয়ে নাদিয়া আলম (১) গত ১৯ এপ্রিল ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। শিশু নাদিয়া আলমের পিতা প্রবাসে থাকায় সাথে সাথে শিশুর মা স্থানীয় বখত পুর শান্তির হাটস্থ এল,এম,এফ পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার নিতাই চন্দ্র নাথের চেম্বারে নিয়ে যায়, শিশু নাদিয়ার মা জুমুর আক্তার বলেন ডাক্তার আমার বাচ্ছাকে কোন প্রকার ডায়রিয়ার স্যালাইন কিংবা ঔষধ না দিয়ে পাছা জোলাপ দেন, এইচ সিরাপ দিয়ে বিদায় দেন, কিন্তু ঘরে আসা মাত্র মেয়ের পাতলা পায়খানা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, এতে বাচ্ছা দূর্বল হয়ে ঢলে পড়ে যায়, এর পর নাজিরহাট মেডিকেলের উদ্যেশ্য যাত্রা করলে পথেই আমার শিশু চটপট করতে করতে মারা যায়। বলেন ডাক্তার আমার মেয়ের ডায়রিয়ার চিকিৎসা না দিয়ে ভূল ট্রিটমেন্ট দিয়ে আমার মেয়েকে খুন করেছে আমি নিতাই নামের পশু ডাক্তারের বিচার চাই। শিশু নাদিয়ার পিতা দুবাই প্রবাসী খোরশেদুল আলম মুটো ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে যানান- আমার শিশুকে নিতাই ডাক্তার ইচ্ছেকৃত ভাবে মেরে ফেলেছে,আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই, তিনি বলেন-আমি আমার মেয়ে সহ পরিবারকে বিদেশে বেড়াতে আনতে সব ব্যাবস্থা করেছি, কিন্ত আমার মেয়ে চিরতরে চলে গেছে। আমি প্রশাসনের নিকট আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কর্মকর্তা ডাক্তার আরেফিন আজিম বলেন – এ ব্যাপারে আমাকে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পল্লী চিকিৎসক ডাঃ নেতাই চন্দ্র নাথকে মুটোফোনে এব্যাপারে যানতে চাইলে তিনি যানান – আমি বাচ্ছার কপ আর জ্বর পেয়ে এইচ জোলাপ আর এর প্রাসঙ্গিক ঔষধ দিয়েছি,তবে ডায়রিয়ার কোন লক্ষণ দেখেনি। ঈদকে সামনে রেখে এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছ। এই ঘঠনার পর থেকে পল্লী চিকিৎসক ডাঃ নিতাই চন্দ্র নাথ আত্বগোপনে (পলাতক) রয়েছে।