সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুকের দাবিতে মাহমুদা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

গৃহবধূ মাহমুদা খাতুন উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরীয়া গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।

গৃহবধুর মা শাহানাজ পারভীন অভিযোগ করেন, প্রায় ৫ বছর আগে সগুনা ইউনিয়নের পতিরামপুর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে আবু রাসেল আহম্মেদ (৩০) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৮ লাখ টাকা ও আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে মেয়ে জামাইকে দেন ওই গৃহবধূর পরিবার।
ওই দম্পতির ঘরে ২বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরো ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর শুশুর, শাশুড়ী বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে চাপ দেন। কিন্তু, ভুক্তভোগী তা আনতে অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে গত ২৪ অক্টোবর রাসেল, তার মা আঞ্জুয়ারা খাতুন ও পিতা আবু জাফর শারিরীকভাবে ব্যাপক মারধর করে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ অব্যাহত রাখেন। পরে মাহমুদার স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরসহ লোকজন ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক গৃহবধূর কাছে থেকে জনতা ব্যাংকের বারুহাস শাখার তিনটি সাদা চেখে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

গৃহবধু মাহমুদা খাতুনের অভিযোগ, রাসেল একজন প্রতারক। সে আমার কাছে থেকে সাদা চেক বইয়ের তিনটি পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারনা করছে।
তিনি জানান, তার দরিদ্র বাবা- মা অনেক কষ্ট করে বিয়ের সময় নগদ ৮ লাখ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র কিনে দেন। কিন্তু, এরপরও সে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। সেটা না দেওয়ায় নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি এখন আমার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। আমার কোন খোঁজখবর রাখছেন না।

এ বিষয়ে বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মো. সীমা খাতুন ফার্মি জানান, বিষয়টি আমরা সবই জানি। গৃহবধূ মাহমুদা খাতুনের কাছে থেকে জোরপূর্বক সাদা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শালিশী বৈঠক করার জন্য বলা হলেও গৃহবধূর শশুরবাড়ির লোকজন এড়িয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!