সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলামকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। (২৯ এপ্রিল) শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তাড়াশ থানা পুলিশ।
এদিকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, কৃষক লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম আমার সাথে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। ২৮ তারিখ শুক্রবার নওগাঁ মাজার শরীফ মসজিদে নামাজ আদায় করে তাড়াশের তালিম ইউনিয়নের কুন্দাশন গ্রামে আমরা এক সঙ্গে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বিজ বিতরণ করি। মামলার বাদী নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ ৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তারা মিয়া খন্দকার মামলার এজাহারে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে আরও তথ্য নিশ্চিত করেন। সাবেকি নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মোঃ আলহাজ আলী খন্দকার তিনি বলেন। মোঃ তারা মিয়া মামলার এজাহারে যা বলেছে তার খামার থেকে চাঁদা নিয়েছে মনিরুল ইসলাম, কিন্তু আমরা জানি তার খামার আছে গরু নেই, এলাকার মানুষ জানে দীর্ঘদিন যাবৎ তার খামারে কোন প্রকার ব্যবসা নেই।
তাড়াশ উপজেলা কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মোঃ নুরুল ইসলাম রাঙ্গা বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে ভিত্তিহীন মামলায় দেওয়া হয়েছে, কৃষক লীগের নেতা মনিরুল ইসলামকে। ভুক্তভোগী মনিরুলের পরিবার জানান, গতমাসে শাহ শরীফ জিন্দানী মাজার শরীফে ওরস চলাকালে অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে বাদী মোঃ তারা মিয়া বেশকিছু জুয়ার বোর্ড চালায়, কিন্তু এই জোয়ার বিষয়ে মনিরুল ইসলাম প্রতিবাদ করে ও প্রশাসনকে তথ্য দেয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন জুয়ার বোর্ড ভেঙে দেয়, এবং রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের জেরও রয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় তাহাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাদী মোঃ তারা মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি, তিনি সাংবাদিকদের বলেন এটা আইনের বিষয়ে আইনি দেখবে আমার কিছু বলার নেই।
এলাকার তথ্য সূত্রে জানা যায়। গত ২৮/৪/২০২৪ইং তারিখ রোজ শুক্রবার নওগাঁ মাজার শরীফে জুম্মার নামাজের খুদবা অবস্থায় বর্তমান এমপি মহোদয়ের আগমনে তারা মিয়া সহ কিছু নেতাকর্মী স্লোগান দিচ্ছিল, সেই মুহূর্তে নামাজী মুসল্লিগণ তাদের স্লোগান বন্ধ করতে বলে, এ কথা বলাতে স্লোগান রত তারা মিয়া ও তার শাথে থাকা ব্যক্তিরা মুসল্লিদের নিয়ে কটুক্তি করে কটূক্তি করায় মাজারে নামাজী মুসল্লিগণ ওই নেতাদের প্রতি উত্তেজিত হলে, বিষয়টা তাৎক্ষণিক ভাবে নেতৃবৃন্দ সমাধান করে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার ভিত্তিতে মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।