বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগরে দিনেদুপুরে ছাবের আহমদের ব্যক্তি মালিকানাধীন বনজ ও ফলজ বাগানের শতাধিক গাছ কেটে সাবাড়, ঘেরাবেড়া ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে শাহ আলম চেয়ারম্যানের ভাই ও লোকজন। তবে এ বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে নির্বাচনি বিরোধ বলে জানিয়েছেন জায়গার মালিক ছাবের আহমদ।
এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর শনিবার সকাল অনুমানিক পৌনে ১২ টার সময় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ধলির ছড়া মুরা পাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। গতকাল সরজমিনে ছাবেরের ওই বাগানে গেলে দেখা যায় পুরো জমিতে ছোট-বড় ফলজ ও বনজ সকল প্রজাতির গাছগুলি কেটে ফেলেছে শাহ আলম চেয়ারম্যানের লালিয়ে দেয়া আপন ভাই ও নিজস্ব ভাড়াটিয়া গুন্ডারা। একই সাথে বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলেছে বলেও অভিযোগ করেছে ছাবের আহমদ। শনিবার দিনেদুপুরে উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ধলির ছড়া মুড়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটালেও রবিবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযোগ দায়ের করলে ছাবেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত ক’বছর ধরে ওই এলাকার শাহ আলম চেয়ারম্যানের লোকজন ছাবেরের বাগান এভাবেই রাতের আধাঁরে বা দিনেদুপুরে গাছ কেটে সাবাড় করে জায়গা দখল করে নেবে বলেছিল অনেক বার শুনেছি। ভুুক্তভোগি উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ধলির ছড়া গ্রামের মুরা পাড়া মৃত আব্দুল ছকির পুত্র ছাবের আহমদ জানান, বিগত ৫০/৬০ বছর আগের আমার বাপদাদার আমল থেকে এ ঘরে বসবাস করে আসছি, এই ভিটায় আমার জন্ম। এই ভিটার নিছে আমাদের খতিয়ানি চাষি জমিও আছে। আমার এ ঘর ভিটায় আম গাছ, কাঁঠাল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় কয়েক শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছের চারা লাগান তিনি। গাছগুলিতে আসন্ন মৌসুমে মুকুল আসার উপযুক্ত হয়ে গেছে। এমন সময়ে গত ২২ অক্টোবর শনিবার দিনেদুপুরে শাহ আলম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার আপন ভাই লাল মিয়া, কালা মিয়া, ছুরত আলম, শফি আলমসহ ৪০/৫০ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডারা একযোগে এসে বাগানে ঢুকে সমুদয় গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। অথচ তাদের জন প্রতি ১২/১৪ কানি করে খালি জায়গা আছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাগানের বিভিন্ন জাতের গাছ ও আম চারা গাছের সাথে ওই ব্যক্তিদের কি শত্রুতা তা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। আম গাছ লাগানোর আগে একই জমিতে তিনি আকাশমণি ও চিকন পাতা গাছের বাগানও করেন। জমির কয়েক শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছের চারাও একইভাবে কেটে ফেলেছে ওই সন্ত্রাসীরা। কিন্তু আম গাছের মত বনজ গাছেরও একই পরিনতি হল। বনজ ও ফলজ গাছের চাষ করতে গিয়ে তিনি প্রায় ২লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহ আলম চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করায় তার নেতৃত্বে আমার উপর এ অত্যাচার ও বাগানের গাছ কেটে ঘেরাবেড়া ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। তাদের বাঁধা দিতে চাইলে উল্টো আমাকেসহ আমার বউ-বাচ্চাকে মেরে ফেলবে বলে ভয় দেখিয়েছে এবং তোর এই জমিতে মুজিব বর্ষের ঘর বানানো হবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পানির ছড়া বাজারে যেতে মানা করেন। এ বিষয়ে শাহ আলম চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!