মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিবাদ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।

ঊনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান ঠেকানোর পাকিস্থানী আগুন, একাত্তরের গনহত্যার আগুন, হাজার হাজার হিন্দু বাসিন্দাদেরকে বাড়িঘর ছাড়া করার ছিয়াশির ও বিরানব্বইয়ের হিন্দু দমনের দাঙ্গার আগুন এবং বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াত নামক রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ের জ্বালাও-পোড়াওর আগুন লাগানোর মত ভোলা জেলার শশীভূষন থানার শশীভূষন সদর বাজারের আগুন পন্ডিত আলম কর্তৃক তার বড় ভাইয়ের ঔষধ ও নারী-যুবতির দেহ ব্যবসার বাজার ঘরে গত ২৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল আটটার কিছুক্ষণ পরে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গেছে। আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে সকাল আনুমানিক দশটার দিকে চরফ্যাসন উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিভানোর কাজে সেবাব্রতী হয়। দৈনিক মানব সময়ের শশীভূষণ করোসপন্ডেন্ট ও প্রত্যক্ষ দর্শীর বরাতে জানা যায় যে, ঘটিত আগুনাঘাতে কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসায়িক মালামালের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে নারী ও যুবতির দেহ ব্যবসার আস্তানা খ্যাত ঐ মাহবুব ডাক্তারের চিকিৎসার ঘরে কোন নারী ও যুবতির দেহ পুড়ে ছাই হওয়ার খবর পাওয়া যায় নাই। এমনকি কোন হতাহতেরও সন্ধান পাওয়া যায় নাই। তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পাওয়া গেছে যে, রসুলপুর ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত: সামছু মৃধার ছেলে মাহবুব দীর্ঘদিন যাবৎ এশিয়া ব্যাংকের মালিকের ঘরে তার ছোট ভাই আগুন পন্ডিত আলমের বিবাদীয় ভাব মূর্তিতে ব্যবসা চালায়। সেই বিবাদের সূত্রে আগুন পন্ডিত আলম রমজান মাসের জন মানবের নজর শূন্য সময়ে ঘটনার দিনে ও সময়ে লোক চক্ষুর আড়ালে আগুনাস্রের আশ্রয় নেয়। কিন্তু তার পরেও দুই মহিলা ঐ আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখে ফেলে। নিরাপত্তাজনিত কারনে সেই মহিলাদের নাম ঠিকানা ও পরিচয় সংগ্রহ করা যায় নাই। তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পশ্চিম পাশ্ববর্তী ঘরে আগুন লাগায় সেই ঘরের বাসিন্দারা ও সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন দেউলিয়া উক্তি করতে দেখা গেছে। ভারতের বাবরী মসজিদের স্থলে মন্দির নির্মানের ভারতীয় ধর্মীয় অসন্তোষকে বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে ১৯৯২ ইং সালে শশীভূষন এলাকার বিভিন্ন ক্যাটাগরীর কোরআনের হাফেজেরা ও মসজিদ মাদ্রাসার আলেমেরা ঐ এলাকার শত শত হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছিল। আগুন সন্ত্রাসীদের সেই বদনাম আড়াল করার জন্য সময়ে সময়ে ঐ এলাকার এমবিবিএস ডাক্তারী কোর্সের ছাত্রের ঘরে আগুন দিয়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারেও দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তাছাড়াও বাড়ি বাড়ি দ্বন্দ্ব-সংঘাত সংক্রান্ত কারনে বর্তমান এওয়াজপুর দুই নং ওয়ার্ডের মোস্তফা দেওয়ান বাড়ির মোস্তফা দেওয়ান একই বাড়ির রাজুর বাপের ঘরে আগুন দিয়েছিল। নর্দা কয়ছর স্থানীয় বহু হিন্দু বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। সিদ্দিক কেরানি বাহিনী দুই নং স্কুল এর পাশ্ববর্তী লাল মিয়ার ঘরে আগুন লাগিয়ে ছিল। উক্ত ঘটনাগুলো স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা হলেও আগুন সন্ত্রাসীরা সমাজে অনেক অপকথ্য সন্ত্রাস পরিচালনা করছে। তবে শশীভূষণ বাজারের উক্ত আগুন ঘটনায় কি হবে না হবে তার কোন ভবিষ্যৎবাণী গোছানো যায় নাই। ছবিতে/ভিডিওতে আগুনে পোড়া ছাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!