মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিবাদ নিউজ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুর এলাকায় সিএমপি সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কর্তৃক সন্নিবেশিত ইটের কনা (খোয়া), পাথর ও বালি চুরি চলছে। এক ধরনের বাসিন্দারা উক্ত চুরির কাজে নিয়োজিত আছে। আরেক ধরনের বাসিন্দারা উক্ত চুরি করানোর কাজে নিয়োজিত আছে। ঘটনার আবহে দেখা যায় যে, সমগ্র ভোলা জেলার সর্বত্রই এই জাতীয় চুরির কাজ বিরাজমান। রাস্তার সরকারী উন্নয়নের জন্য রাস্তার কোথায়ও না কোথায়ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মালামাল রাখলেই ঐ শ্রেণির চোর চক্র উক্ত মালামালের উপর হামলে পড়ে। নিজ বাড়ি-ঘরের উন্নয়নের জন্য লোক চক্ষুর আড়ালে, রাতের অন্ধকারে কিংবা সাক্ষ্য প্রমান যাতে না থাকে – এমন পরিস্থিতি তৈরি করে ঐ সকল মালামালের – যে যা নেওয়ার সুযোগ করতে পারে তার সবই নিয়ে নিজস্ব কাজে লাগায়। চুরি করা মালামাল দিয়ে কেউ নিজস্ব ঘর করে, কেউ নিজস্ব বাড়ির দরজা পাকা করে, কেউ নিজস্ব ঘরের ওয়াল মজবুত করে, কেউ নিজস্ব ঘরের ওয়াল পাকা করে, কেউ নিজস্ব ঘরের বৈঠকখানা পাকা করে, কেউ নিজস্ব ঘাটলা পাকা করে, কেউ নিজস্ব লেট্রিন পাকা করে, কেউ নিজস্ব বাড়ীর দরজার নিজস্ব নামের মসজিদের বাহারি উন্নয়ন করে। এতে উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার সরকারী উন্নয়নের কর্মস্থলের প্রয়োজনীয় উপাদান সামগ্রী কম পরিমানের ও নিন্ম মানের প্রদান করে উন্নয়নের কাজের ইতি টানে। অনেক ঠিকাদার নিজেই মোটা অংকের সরকারী টাকা চুরি করার জন্য কম পরিমানের ও নিন্ম মানের উন্নয়ন সামগ্রী দিয়ে উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করার জন্য তার বা তাদের উন্নয়ন কর্মস্থলে ঐ ধরনের চুরি হওয়ার ঘটনার আশ্রয় গ্রহন করার খবর পাওয়া গেছে। ছবিতে- এওয়াজপুর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ডেগার মহিউদ্দিন বা পিস্তল মহিউদ্দিন নামে পরিচিতি (গেন্জি পড়া ও চুরির কাজে দাড়িয়ে নির্দেশনা প্রদানরত) প্রাপ্ত গোলাম সহিউদ্দিন তালুকদারকে দিন দুপুরে সরকারী রাস্তার পাথর, খোয়া (ইটের কনা), মাটি ও বালি চুরি করিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।