রিয়াদ মিয়া, স্টাফ রিপিটার.. বরিশালের বানারীপাড়ায় বাজার পরিদর্শন কালীন সময় অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরন করা হয়েছে।

৫ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় বাজার পরিদর্শন করা হয়। এ সময় জেলিযুক্ত প্রায় ৩০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। মৎস্য টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বিক্রেতা সড়ে পড়ে। এরপর মাছগুলো পরীক্ষা করে জেলির উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এ সময় খোজ নিয়ে জানা গেছে বাজারে অসাধু আড়ৎদারগণ অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ জেলিযুক্ত মাছ ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করে। এরপর মৎস্য কর্মকর্তা এ সব মাছের ব্যাপারে বাজারের আড়ৎদারদের ডেকে কথা বলতে চাইলে আড়ৎদার সত্য ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও ভাষা ব্যাবহার করে।

জানা গেছে, সত্য তার প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি জাটকা মাছ সরবরাহ করে এবং তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। ১৫ জানুয়ারী ২০২১ তারিখ ১৮০ পিচ ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। বাজারের উপস্থিত জনতার একটাই প্রশ্ন একজন ইয়াবা ব্যাবসায়ী কার ক্ষমতার বলে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে চড়াও হতে পারে। এ ধরনের লোকদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন স্থানীয় জনতা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন জানান, সকল আড়ৎদারকে প্রাথমিক ভাবে সর্তক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারো কাছে জাটকা, জেলিযুক্ত মাছ পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে। একজন সরকারী কর্মকর্তার উপর একজন অসাধু ব্যবসায়ীর চড়াও হবার ঘটনা উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তার সাহসী কর্মকান্ডে সাধারন মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে মানুষকে বিষ খাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি জনসাধারনের দাবী প্রতিদিন সকাল বেলা মৎস্য বাজারে অভিযান পরিচালনা করলে জাটকা ও পচা মাছ বিক্রি বন্ধ হবে এবং জনসাধারন উপকৃত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!