নিজস্ব প্রতিবেদন 

নানা আয়োজনের স্কুলের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি রবিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শীক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়।

পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের আঙিনায় বিশ থেকে পঁচিশটি স্টল সাজানো হয়েছে নানা
পিঠার ওপরে লেখা ছিল পরিচিতি নাম। নামগুলোও বেশ বাহারি। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে ঘুরে জেনেছে আবহমান বাংলার প্রচলিত এবং নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে।নকশি, চিতই, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল, ইলিশ পিঠা, চুটকি, মুঠি, জামদানি, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি।নানারকম পিঠা সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা

পিঠার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি মন মাতানো সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে নেচেছে কোমলমতি শিশুরা। স্কুলের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা নৃত্যসহ মন-মাতানো গান পরিবেশন করেছে। পুরো স্কুল ক্যাম্পাস রূপ নিয়েছিল অনিন্দ্য মিলনমেলায়।

প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইন্না তাবাচ্ছুম তানসিম জানায়, ‘বাহারি রকমের এতো পিঠা একসঙ্গে কখনো দেখা হয়নি। আজ ক্লাস নেই। শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে পিঠা খাচ্ছি, বিক্রি করছি। এতে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে।

মায়ের সঙ্গে পিঠা উৎসবে আসা এক শিক্ষার্থী নাজিবা বলেন, ‘এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি। নতুন নতুন পিঠার স্বাদ নিতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।তানসিম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলে অনেক সুন্দর আয়োজন হয়েছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম, নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লেগেছে।

প্রি কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আমজাদ হোসাইন বলেন,ঋতু পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন বাহারী পিঠার মাধ্যমে মেহমান আপ্যায়নের যে ঐতিহ্য, তা চট্টগ্রাম শহরের শিশুরা যেন ভুলে যেতে বসেছে। অন্যদিকে ফাস্টফুড খাওয়ায় তাদের স্বাস্থ্যহানী ঘটছে।এই আয়োজনের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও এসব ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ও ধারণ করতে পারবে বলে আমরা মনে করি।’

প্রতিষ্ঠান পরিচালক ও কর্ণধার
ইঞ্জিনিয়ার হোসাইন মুরাদ,বলেন,বিশ্বাস, আদর্শ ও মূল্যবোধের সমষ্টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা শিক্ষামূলক ও ক্রিয়েটিভ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!