গাজীপুরে এক শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে (বৈদ্যুতিক সর্টের অগ্নিকাণ্ডে) দগ্ধ হয়ে শরীরের অধিকাংশ ঝলসে মৃত্যুশয্যার। গাজীপুর মহানগরীর ৩৭নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার মেম্বারবাড়ী সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এক বাড়ীর ছাদে উঠে ঘুড়ি নামাতে গীয়ে এ ঘটনা ঘটে এলাকাবাসী অগ্নিদগ্ধ শিশু জামালপুরের কুলকান্দি ইসলামপুরের মৃত সন্দেশ আলীর ছেলে জিহাদ (১১)। দগ্ধ শিশু জিহাদ কুনিয়া এলাকায় মায়ের সাথে ছিব্বরের ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করতো। জিহাদের খেলার সাথীরা জানায় শিশু জিহাদ বিকেলে খেলার সাথীদের নিয়ে ঘুড়ি উড়াতে মাঠে যায়। পরে তার ঘুড়িটি পার্শ্বের বাড়ীর মনির হোসেন মৈঞ্জা (৬০)’র বাড়ির ছাদ ঘেঁষা বৈদ্যুতিক মূল সংযোগ লাইনের তারে আটকে যায়। পরে শিশু জিহাদ ঘুড়ি পাড়তে ওই বাড়ীর পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ঘুড়ি উদ্ধারের চেষ্টা কালে বৈদ্যুতিক সর্টে অগ্নিদগ্ধ হয়, কিছুসময় পর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহতও হয় শিশু জিহাদ। এ বিষয়ে জিহাদের ভগ্নিপতি হাসান আলী প্রতিবেদককে বলেন ঘুড়ি পারতে ছাদে উঠে জিহাদ, অগ্নিদগ্ধ হবার খবর পেয়ে আমরা (স্বজনরা) ঘটনাস্থলে যাই। পড়ে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। শিশু জিহাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গী জোনের পল্লী বিদ্যুৎ এর উপ্রস্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এসময় উপস্থিত গণমাধ্যমকে জানান আইনানুযায়ী বিদ্যুৎ এর মূল সংযোগ লাইন থেকে ১১মিটার দূরত্বে স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশনা রয়েছে। সরকারি এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎতের মূল সংযোগ ঘেঁষে বাড়ি নির্মাণে, বাড়িটিও অবৈধ। তিনি বলেন বাড়ির মালিকের এ দায় এড়াবার সুযোগ নেই। স্থানীয় সচেতন মহলের অনেকেই বলছেন বৈদ্যুতিক তারের পাশ ঘেঁষে বাড়ী নির্মাণে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে গাছা থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপাক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।