মোঃ ওসমান গনি খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ-চতুর্থ বিপ্লবকে সামনে রেখে বিশ্বের প্রতিটি জাতি আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন যায়গায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে।
সরকারের এই বিপুল বিনিয়োগকে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে উপযুক্ত নেতৃত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অধিকর্তা বিশেষত: উপাচার্য পদে উঁচু মানের গবেষক সৎ ও আদর্শ শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা উচিত।
তবে কোথাও কোথাও এর ব্যত্যয় লক্ষ করা যাচ্ছে যা জাতির জন্য দূর্ভাগ্যজনক।
উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ্য যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) জনাব সারোয়ার আকরাম আজিজ পিএইচ,ডি ডিগ্রি লাভ ছাড়াই কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির আশীর্বাদে এই পদে আসীন হতে পেরেছেন।
জানা যায় যে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি একাধিকবার বিভিন্ন অনৈতিক অনিয়মের আশ্রয় নেয়ায় দোষী সাব্যস্ত হন ।
আরও যানা যায় যে,তিনি বিভিন্ন সময় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ভূল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।
বৈধভাবে ছাত্রের সুপারভাইজার না হয়েও তিনি ছাত্রকে এম,এস ডিগ্রি প্রদানে উদ্যত হন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করা কালীন সময়েও তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের তদন্ত হলে সত্যতা পাওয়া যায়। এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত থাকার পরেও তিনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হলেন এটাই প্রশ্ন।
রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রশ্নে তিনি কোন দিকে তা অনেকের কাছেই পরিস্কার নয়। তবে তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্মজীবনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনের সাথে জরিত ছিলেন বলে জানা যায় নাই। এর পড়েও একটি মহলের মদদে তিনি উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
এহেন অযোগ্য ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তিনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করবেন এটা সকলেই উপলব্ধি করতে পারে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহল যদি সঠিক উপলব্ধি করতে পারেন তবেই জাতি উপকৃত হবে।