শেফাইল উদ্দিন,ঈদগাঁও

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন- বাপা কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলা শাখার এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় বাজারের পাবলিক লাইব্রেরীতে এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান তারেকের সঞ্চালনায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মহসিন, সাংবাদিক শেফাইল উদ্দিন, প্রভাষক মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন আহমেদ, মানবতা সংগঠক এম, নাছির উদ্দিন, চার্চ মানবাধিকার সোসাইটির জেলা শাখার নেতা রাশেদুল আমির চৌধুরী, শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, সাংবাদিক সায়মন সরওয়ার কায়েম, সাংবাদিক কাওছার উদ্দিন শরীফ প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল হুদা, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব জাফর আলম, স্থাপনা সমিতির নেতা আবু ছালেহ,
সমাজসেবক সাহাব উদ্দিন, সৈয়দ আকবর হেলালী, চন্দন পাল বাবু, কবি নোমান মাহমুদ, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন পিন্টু, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক, যুবনেতা রায়হান উদ্দিন, সংবাদকর্মী নুরুল আজিম মিন্টু, এমইউপি নুরুল আলম, মাস্টার আমানুল্লাহ, হামিদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, শহীদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার সহ সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোড সহ অন্যান্য অলিগলিতে প্রায় সময় ময়লা- আবর্জনায় ও পূতিময় দুর্গন্ধে ভরপুর থাকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান- পাটের প্রতিদিনকার ময়লা- আবর্জনা রাতে দোকান বন্ধ করার পর রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। এতে বাজারবাসীদের ভোগান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও খালে ফেলানো হচ্ছে বাজারের যাবতীয় উচছীষ্ট। এর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল ও মহিষের নাড়িভুঁড়ি, হাঁস, মুরগি ও মাছের অবশিষ্ট অংশ।
ফলে এককালের খরস্রোতা এ খালটি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে খালের উভয় পাড়ে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না দখলদাররা।

বাজারের জালালাবাদ অংশে অবস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল ও নাজুক অবস্থা সচেতন এলাকাবাসীকে মর্মাহত করছে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি যেন পরিত্যক্ত ভবনের মত অস্বস্তিকর ময়লা, আবর্জনা ও দুর্গন্ধের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে বলা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকাটি পরিবেশ ও প্রতিবেশ সচেতনতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে নদ-নদী, ছড়াও খাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মাধ্যমে এলাকার সামগ্রিক পরিবেশকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রশাসনিক অনুমতির অজুহাতে তারা প্রতিনিয়ত অন অনুমোদিত স্থান থেকে বালি তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছে। পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলের সংরক্ষিত রক্ষিত বাগান কেটে সাভার করছে সঙ্গবদ্ধ কাঠ চোরাকারবারিরা। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা দেখেও না দেখার ভান করছে। ক্ষেত্র বিশেষে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে তারা বনাঞ্চল নিধনকারীদের সহায়তা করে যাচ্ছে। তাই সময় এসেছে এসব এলাকায় পরিবেশ বিষয়ক নানা সচেতনতা সৃষ্টি। আর এক্ষেত্র অন্যান্য নানা শ্রেণি- পেশার লোকজনের পাশাপাশি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারেন পরিবেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সে লক্ষ্যে দীর্ঘদিন এলাকায় পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!