আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়েছিলো যুক্তরাজ্য। যেই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছিলো ব্রেক্সিট। তবে সেই থেকে যেন অদ্ভুত এক শনির দশায় ধরেছে যুক্তরাজ্যের সব প্রধানমন্ত্রীর। ব্রেক্সিট শুরুর ভোটাভুটি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের দায়িত্ব আসা সব প্রধানমন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন ব্যর্থতার অপবাদ নিয়ে।

কিছুদিন আগেই দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দেড় মাসের মাথাতেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন লিজ ট্রাস। দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই এবার ইইউতে যোগ দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হলো লন্ডন। ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তরাজ্যের জন্য বড় ভুল ছিল বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যকে আবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে লন্ডনের রাজপথ।

ব্রেক্সিটের শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ জঙ্গন সেটির বিপক্ষেই ছিলো। তবে ভোটাভুটির শেষে ব্রেক্সিটের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। যদিও পার্থ্যকটা ছিলো খুবই সামান্য। তবে সেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে একের পর এক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে টালমাতাল দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা, তখন আবার নতুন করে ব্রেক্সিটবিরোধীরা শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফেরার জন্য।

যুক্ত্যরাজ্যকে আবারও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভকারীরা সংস্থাটির পতাকা নিয়েই বিক্ষোভে নেমেছিলো। নিজেদের দেশকে পুনরায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফেরানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জানান, যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীল অবস্থায় ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল বড় একটি ভুল। এটি দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার প্রভাব দেশের জনগণের ওপরেই পড়েছে।

ব্রেক্সিটের বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মতে ব্রেক্সিটের কোনো প্রয়োজনই ছিল না। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিকে জর্জরিত অবস্থা পার করা যুক্তরাজ্যের বর্তমান অবস্থার জন্য ব্রেক্সিটকেই দায়ী করেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!