
শেখ রনজু আহাম্মেদ রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতির দুই শিশু সন্তান এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মহিলা দল নেত্রীরা।
রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতির রাজবাড়ী শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গার বাসায় যান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, আশরাফ বাবুর স্ত্রী অর্পন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য বিথিকা বিন হোসাইন, ফরিদপুর জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাজরীন রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাছরিন আলম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্নি রহমান, ফরিদপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু, সদস্য সচিব এ্যাড. কামরুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান প্রমুখ। এসময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্মৃতির পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা ও উপহার প্রদান করা সহ তারা পরিবারের খোঁজখবর নেন। তার পাশে থাকার অঙ্গিকার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র নেই। শুধু লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। একজন নারীকে দু’টি বাচ্চার সামনে কিভাবে গভীর রাতে ধরে নিয়ে যায়। আমরা স্মৃতির জন্য আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবো।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করার অভিযোগের মামলায় রাজবাড়ী থানা পুলিশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী ও রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্সের প্রতিষ্ঠা সোনিয়া আক্তার স্মৃতি (৩৫) কে রাজবাড়ী শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজবাড়ী সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের মৃত আখতার উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন চৌধুরী। সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার নামীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট প্রচার করে। এতে প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন ও মানহানী হয়েছে।