
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিমগাছী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) আব্দুল হাদি তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে পাশের এক বছর আগেই চাকুরীতে যোগদান করে বেতন ভাতা উত্তোলন। এ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শাহাদৎ হোসেন নামের একজন ছাত্র অভিভাবক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন । পরিচালনা কমিটিও অভিযুক্ত শিক্ষকের বেতন ভাতা কর্তন সহ তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে শাকঁ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষক আব্দুল হাদি তালুকদার। জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) মো: আব্দুল হাদী তালুকদার উক্ত বিদ্যালয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ নিয়ে বেতন ভাতা গ্রহন করে আসছে
শুধুই তাই নয় তিনি সোনাখাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সাবেক আহবায়ক এবং বর্তমানে সোনাখাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নিবার্চিত সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুদের দাদন ব্যবসায়ী হিসাবে অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে খারাপ আচারন করে থাকেন। বিভিন্ন সময় পাঠদান কার্যক্রম বিরত রেখে দলীয় রাজনৈতিতে অংশ গ্রহন করে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকেন।
বিদ্যালয়ের নিয়ম নীতি না মেনে তিনি ইচ্ছেমতো চলাফেরা করেন থাকেন। উল্লেখ্য থাকে যে, গত ১৪-০৫-২০০৩ সনে একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ০৯-১০-২০০৩ ইং তারিখে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পর সে সমযের ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমান কর্মরত সহকারী শিক্ষক মো: জহুরুল হক গত ২৯-১০-২০০৩ ইং সালে স্বাক্ষরিত পত্রের আলোকে গত ৩০-১০-২০০৩ ইং সালে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) শিক্ষক পদে মো: আব্দুল হাদি তালুকদারকে যোগদান করান। গত ২৯-১০-২০০৩ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ড আব্দুল হাদি তালুকদারকে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) পদে নিয়োগ দেন অথচ সেই শিক্ষকের শিক্ষা সনদের পাশের সাল ২০০৪, তাহলে পাশের এক বছর আগে কি ভাবে শিক্ষক হিসাবে আব্দুল হাদি তালুকদার নিয়োগ নেন এবং বেত ভাতা উত্তেলন করেন? এই নিয়োগের বিষয়টি অবৈধ হওয়ায় উক্ত শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ও তার বেতন ভাতার বন্ধের দাবী জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহাৎ হোসেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুজ্জামান জিন্নাহ ঘটনার সতত্য স্বীকার করে বলেন বিদ্যালয়ের নিয়ম নীতি না মেনে তার ইচ্ছমতে চলাফেরা করা সহ স্কুলের সকল শিক্ষক ছাত্রদের সাথে খারাপ আচারন করে থাকেন। বিভিন্ন সময় পাঠদান কার্যক্রম বিরত রেখে বিএনপি রাজনৈতিতে অংশ গ্রহন করে সরকারী বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকেন। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপিত ও সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন এর নিকট অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে এক ছাত্র অভিবাবক সদস্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আর ওই শিক্ষক স্কুলে না আসায় আমরা প্রাথমিক ভাবে তার একদিনের বেতন কর্তৃন সহ তাকে শো-কোজ করেছি।