স্টাফ রিপোর্টার ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর বিরুদ্ধে নাবালক শিশুকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে গিয়ে চৌকিদারকে দিয়ে পিঠিয়ে লাঠি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে ৮ জুলাই শুক্রবার উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে বানিয়াটারি গ্রামের আনোয়ারের পুত্র পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া আতিকুল এর সাথে।আতিকুল ঘটনার দিন বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার বয়সী এক ছেলের সাথে রাস্তায় কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।পরে আতিকুলের মা এসে আতিকুলকে মেরে বাড়িতে নিয়ে যায়।পরে ঘটনার ওই দিনি বিকেলে এক মুরুব্বি আতিকুলকে ডেকে নিয়ে যায় বাজারে যাওয়ার কথা বলে।শিশু আতিকুল জানায় বাজারে গেলে চৌকিদার সোলেমানকে দিয়ে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে যায় বাজারের পাশে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদে।সেখানে গিয়ে দেখতে পাই ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কয়েকজন মেম্বারসহ বসে আছে।পরে চেয়ারম্যান চৌকিদারকে হুকুম করলে চৌকিদার পাশে থাকা লাঠি নিয়ে এসে একটা মাইর দিলে লাঠিটি ভেঙ্গে যায়।পরে আর একটি লাঠি নিয়ে এসে আরও একটা মাইর দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।আতিকুল বাড়িতে গিয়ে তার বাবা আনোয়ারকে মাইরের বিষয়টি খুলে বলে।

 

আনোয়ার বলে আমি আমার ছেলে আতিকুলকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলের দিকে যাওয়ার পথে কয়েক জন বাধা দিয়ে বসে।বাধাদান কারিরা আমাকে বলে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবা না কারন তুমি গরীব মানুষ।কিছু করতে গেলে তুমি বাড়িতে থাকতে পারবা না।পরে ভয়ে আমি আর কোথাও যাইনি বাড়িতে ব্যাথার ওষুধ খাওয়াইছি।আনোয়ার আরো বলে ঈদের আগে ভিজিএফ এর চাল ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে ৮ কেজি চাল দিয়েছে।

এ বিষয়ে তিলাই ইউনিয়নের চৌকিদার সোলেমানকে ফোন দিলে ঘটনা স্বীকার করে বলেন ঘটনার আগে আমি পরিষদে চাউল বিতরণ করে বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে বাজারে গেলে বাজার থেকে আনিচ মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে নিয়ে আসে পরিষদে।এসে দেখি চেয়ারম্যান ,কয়েকজন মেম্বার ও আরও বেশ কিছু লোক বসে আছে সাথে দুটো ছোটো ছেলে।চেয়ারম্যান আমাকে হুকুম করে শিশু আতিকুল কে লাঠি দিয়ে মারার। আমি মারতে না চাইলে আমার উপর চেয়ারম্যান রাগ হয়।পরে আমি পাশে থাকা লাঠি দিয়ে একটা মাইর দিলে লাঠিটি ভেঙ্গে যায়।পরে আমি ভাঙা লাঠি ফেলে চলে যাই।
সে সময় আলম চৌকিদার এর সঙ্গেও ফোনে কথা হলে সেও ঘটনা স্বীকার করে বলেন হ্যা আমিও শুনেছি।

 

আতিকুল এর বাবা আনোয়ার বলেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসা আমার মামাতো ভাই ঘটনা সব শুনে পরের দিন আমাকে নিয়ে চেয়ারম্যান এর কাছে গেলে চেয়ারম্যান ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চায় আমার কাছে।

এ বিষয়ে তিলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বলেন এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে।

 

আতিকুল রহমানের মা বাবার দাবি তাদের অনুপস্থিতে এ অমানবিক আচরণে তারা ক্ষুব্দ তারা তাদের শিশুর উপর অমানবিক আচরণের উচিত বিচারের দাবী সংশ্লিষ্টদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: