
স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটায় বিরোধীয় জমির উপর জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। পরে আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে পুনরায় বিরোধপূর্ণ জমিতে তালা দেয় বাজার পরিচালনা পরিষদ। অভিযুক্ত সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দাম ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়াল খালী এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে বলে জানা গেছে। ১৮ জুন শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বাজারের বাঁশঘাটা শামশুর চায়ের দোকানের পাশে নজির আহমদ সওদাগরের মরিচ মিলে। অভিযুক্ত সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দামের বড় ভাই মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, তার বাবা নজির আহমদ জীবিত থাকাকালীন ২০১২ সালে বর্ণিত স্থানে আমার নামে ৩.৭২ পয়েন্ট জমি রেজিস্টি মুলে হেবানামা দান করেন যার দলিল নং ১২২৭। একই ভাবে পূর্ব অংশে সাদ্দামকেও হেবানামা পত্র দেন পিতা। ইত্যবসরে আবুল কালামের নামে হেবানামা পত্রে উল্লেখিত জমিতে একটি ভবন ও আরেকটি মরিচের মিল রয়েছে। নজির আহমেদের ছেলে আবুল কালাম সৌদি আরবে থাকার সুযোগে জমির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সাদ্দামের। নানান কৌশলে আবুল কালামের নামীয় জমিতে থাকা ভবন ও মরিচের মিল দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে এই সাদ্দাম। আবুল কালাম আরো জানান,
নারী নির্যাতন,মারধরসহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত জামাতের অর্থ যোগাদাতা, নাশকতার মামলার আসামী ভূমিদস্যু সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দাম সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক ভবন ও মিলটি দখলে নিতে চেষ্টা চালায়।এমন কি আবুল কালামের অনুুুুপস্থিতি পূূূনরায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে নেয়। ভুক্তভোগী আবুল কালাম দেশে এসে এসব ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদ করায় আবুল কালামের উপর কয়েকবার হামলাও চালায় সাদ্দাম। এদিকে ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে বিরোধীয় জমির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা করেন যার নং অপর ১০৬০/২২ ইং। বাদী আবুল কালামের মামলা নথিভুক্ত করে বিজ্ঞ আদালত দুই পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহকারী কমিশন (ভূমি) সদর ও ঈদগাঁও থানাকে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার শর্তে মরিচের মিলটি তালাবদ্ধ করে দেয় পুলিশ।এদিকে তালাবদ্ধ করার পরদিন শনিবার বিকেলে সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দাম দলবল নিয়ে তালা ভেঙে মরিচ মিলে প্রবেশ করে পুলিশ ও ভুক্তভোগীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানান বড় ভাই আবুল কালাম। এছাড়া ভবন ও মরিচ মিলের দিকে নজর দিলে জানে মেরে পেলার হুমকি ধমকি দিয়ে বলেন ভবন-মিলের জমিদারি করতে গেলে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যতায় এদিকে যে আসে তাকে হত্যা, গুম, হাড়গুঁড় ভেঙে পেলার হুমকিও দেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তালা ভেঙে মরিচ মিলে প্রবেশ করার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ঈদগাঁও থানার এএসআই কাজী রাশেল আহমদ।তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাজার পরিচালনা পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজারের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ঈদগাঁঁও বাজার পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গিয়ে পূনরায় তালাবদ্ধ করে রাখেন মিলটি। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত সাঈদ মোহাম্মদ প্রকাশ সাদ্দামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উল্লেখিত জমি নিয়ে আদালতে বিচার চলমান,বিচার সালিসে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের নামে থাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিলে প্রবেশ করে বলে জানায় তিনি।