
আল আমিন ইসলাম স্টাফ রিপোর্টর।
আমাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন এর কো-অর্ডিনেটর জনাব KM Sohel Haowlader সাহেবের মাধ্যমে দারুণ একটি সুসংবাদ পেলাম, দারুণ একটি সফলতা পেলাম…
নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার এলাকার মোঃ কাদের মোল্লা’র স্ত্রী মোসাঃ নীলিমা আক্তার’কে বাসায় কাজের জন্য দূরন্ত এয়ার বিজনেস এজেন্সির মাধ্যমে বিগত প্রায় সাত মাস পূর্বে সৌদি আরব পাঠানো হয়। কিন্তু সৌদি আরব পৌঁছানোর পর থেকেই সেখানে সে বিভিন্নভাবে শারীর নির্যাতনের শিকার হয়। গত সাত মাস যাবৎ মোসাঃ নীলিমা আক্তার সেখানে নির্যাতিত হচ্ছিলো। নীলিমাকে ফোন ব্যবহার করতে দিত না। ছাদের উপরে একটা ভাঙ্গা কুঠোরে মশারি বিহীন ভাবে তাকে দিনের পর দিন রাখা হতো। প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থায় নীলিমাকে টেনে হিঁচড়ে সিড়ি দিয়ে নামিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হতো। বিষয়টি নীলিমা তার পরিবারের লোকজনকে জানালে অসহায় পরিবারের লোকজন নীলিমাকে ফিরিয়ে আনতে প্রবাসে পাঠানোর এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করলে । এজেন্সির লোকেরা নীলিমাকে ফিরিয়ে আনার জন্য নীলিমার স্বামী মোঃ আক্তার হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। যাহা কোনোভাবেই আক্তার হোসেনের পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
উপায়ান্ত না পেয়ে সৌদি আরবে মোসাঃ নীলিমা আক্তারের নির্যাতনের বিষয়টি তার স্বামী মোঃ কাদের মোল্লা সংস্থার কো-অর্ডিনেটর জনাব কে. এম. সোহেল হাওলাদারের কাছে আসেন এবং নীলিমাকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি প্রধান কার্যালয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নিয়ে নীলিমা আক্তারের নির্যাতনের বিষয়টি প্রসঙ্গে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা শুরু করেন। এই বিষয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয় তৎক্ষণাৎ থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রস্তুত করেন। ওই প্রতিনিধি দলে এই অধম রকিব ছিলাম। প্রতিনিধি দলটি তৃণমূল হতে নীলিমা আক্তারকে যে দূরন্ত এয়ার বিজনেস এজেন্সি কর্তৃক প্রবাসে পাঠানো হয়েছিল সব স্থানে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান। অতঃপর সৌদি আরবে আমাদের কর্মীদের মাধ্যমে নীলিমার অবস্থান জানতে সক্ষম হই। এবং নীলিমাকে উদ্ধারের জন্য দেশে ও সৌদি আরবে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
অবশেষে আমাদের কাছে আবেদনের মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা মোসাঃ নীলিমা আক্তারকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম এবং সফল হলাম… । জানিনা আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কতটুকু করতে পেরেছি তবে এক নির্যাতিত মাকে তার স্বামী ও সন্তানের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি এটি হচ্ছে আমাদের বড় সফলতা।
আজ ২৫-০৫-২০২৩ ইং তারিখে আমাদের সমন্বয়কারী কে. এম. সোহেল হাওলাদার সাহেব এবং তার দুই মানবাধিকার কর্মীকে সাথে নিয়ে কিছুক্ষণ আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মোসাঃ নীলিমা আক্তারকে রিসিভ করেন এবং তার স্বামী মোঃ কাদের মোল্লা’র হাতে তুলে দেন।
এই কাজটি সফল হওয়ার পেছনে অত্র সংস্থার কো-অর্ডিনেটর জনাব কে. এম. সোহেল হাওলাদার সাহেব ও তার সহপাঠী মানবাধিকার কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম নির্ঘুম রাত কখনোই ভোলার নয়। মূলত তাদের পরিশ্রমেই এটা সম্ভব হয়েছে। সংস্থার পক্ষ হতে কে এম সোহেল হালদার সহ প্রতিনিধি দলের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আসুন কথায় নয়, facebook স্ট্যাটাস কিংবা পত্রিকা বিজ্ঞাপনে নয়, আমরা কার্যক্রমে তৃণমূলে মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করি।