সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনামঃ
শিক্ষার গুণগত মানে তুলনামূলক এগিয়ে বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় উত্তীর্নদের অভিনন্দন জানালেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস জনপ্রিয়তার শীর্ষে হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন বাবার মতো মানুষের সেবক হতে চাই, গড়তে চাই স্বপ্নের তাহিরপুর সাংবাদিকের উপর হামলা: চেয়ারম্যান কারাগারে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে প্রশান্তির যাদুকাটার নিরব কান্না” যাদুকাটায় ড্রেজার-শেইভ মেশিনের তান্ডব; বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি  দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলহাজ্ব হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ,, দেশ টিভি’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিক্ষার গুণগত মানে তুলনামূলক এগিয়ে রাধারাণী মহিলা (ডিগ্রী) কলেজ

জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান ভাষা সৈনিক সাহিত্যিক  খলিল আহমদ এর কাব্যগ্রন্থ দ্বিতীয় সংস্করণ ”বর্ণমালার বাংলাদেশ” আত্মপ্রকাশ ফ্রেব্রুয়ারী -২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Reporter Name / ২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:

খলিল আহমদ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক ও সমাজচিন্তক। দেশ ও জাতিকে নিয়ে তাঁর চিন্তার জগত বিস্তৃত। প্রবাসে অবস্থান হলেও তাঁর মন পড়ে থাকে স্বদেশের ঠিকানায়। তাই তো চিন্তা ও কর্মে তিনি যেন স্বদেশের এক মহাপ্রাণ। সমকালীন সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য-শিক্ষা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর গভীর বোঝাপড়া রয়েছে। তাঁর সৃষ্টিতে এর প্রতিফলন ঘটে থাকে। খলিল আহমদ ১৫ জুন ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার জহিরপুর গ্রামের এক সন্ত্রান্ত তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামহ মরহুম হাজী আব্দুল গফুর তালুকদার একজন ধার্মিক ব্যক্তিত্ব ও তিনি বাংলা, ঊর্দূ, ফারসি ও নাগরী ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম ইন্তাজ মিয়া (আব্দুল হাশেম) এবং মাতার নাম মরহুমা মফিজুন নেছা। তিনি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে থেকেই তিনি তাঁর সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা  করছেন নিবিষ্টমনে। এগুলোর মধ্যেই তিনি নিজের জীবনের আনন্দ খোঁজে নেন। কবিতায়, গল্পে কিংবা প্রবন্ধে তিনি দেশের প্রতি মমত্ববোধকে ফুটিয়ে তুলেন নিরুপম কারুকার্যতায়।
খলিল আহমদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি জ্যাকির, মুহাম্মদ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। পরে স্থানীয় নয়াবন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে বোয়ালজুড় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি এম.সি কলেজ থেকে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে – স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস (আন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ)-  এ অধ্যয়নকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। কর্মজীবনে তিনি বিলেতে গিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বেছে নেন। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে যুক্তরাজ্যে স্থানীয়ভাবে বসবাস করছেন। খলিল আহমদের লেখালেখির সূচনা সেই স্কুলজীবন থেকে । তিনি বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকা এবং সাময়িকীতে লেখালেখি করতেন। বর্তমানে তিনি অনলাইন গণমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তবে তাঁর প্রকাশিত লেখা প্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। ‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থটি। দেশমাতৃকার প্রতি অপরিসীম প্রেমের নিদর্শন এই কাব্যগ্রন্থটি। খলিল আহমদ ‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ কাব্যগ্রন্থে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তাঁর কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, বিরহ- বেদনা এবং স্বজাত্যবোধ প্রকাশ্যভাবে ফুটে উঠেছে। জৈবনিক ঐকান্তিকতা তাঁর কবিতাকে করেছে গতিসঞ্চারী। মনের ভেতর জমানো কথাগুলো যেন আবেগের ফল্গুধারায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তারঁ কবিতায় শহীদ মিনার যেন এক জীবন্ত প্রাণ। ‘শহীদ মিনার’ কবিতায় তিনি লিখেন-তোমার স্মৃতি রক্তজবা/চোখের জলে তোমায় আঁকা,/‘তোমার স্মৃতি হাসনাহেনা/দিবালোকে যায় না দেখা’ খলিল আহমদ দেশকে ভালোবাসেন অসীম মমতায়। হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন দেশের প্রেম। তাঁর কবিতায় এর প্রকাশ ঘটে। ’অপরুপ তুমি’ কবিতায় তিনি লিখেন -তোমাকে  ঘিরে হাজার শিল্পি এঁকেছেনে তা’রা ছবি/ কবিতা লিখেছেন আকুল করা আমার দেশের কবি/ এই মোর যশ, তোমায় আমি ভালোবেসে হবো নিঃশেষ। একুশ আমাদের জাতীয় চেতনার উৎস।
স্বাধীনতার  আগমনী গান যেন একুশের মাঝেই লুকিয়ে ছিল। একুশ আমাদেরকে স্বাধিকার এবং নিজস্ব স্বকীয়তা রক্ষায় উজ্জীবিত  করেছে। কবিও একুশকে উপলব্ধি করেন অনন্যতায় । ’একুশ এলো’ কবিতায় তিনি লিখেন- একুশ এলো’ ফাগুনের  আ¤্রকাননে কৃষ্ণচ‚ড়ার ডালে ডালে/পূর্বের আকাশে লাল দিগন্তে রক্তিম আভায় রক্ত মেখে/আমার ভায়ের রক্তে রঞ্জিত লাল গোলাকার-বৃত্ত।/ একুশ এলো মায়ের স্বাধিকার দাবির মিছিল/বর্নমালা’র সংগ্রাম বাংলার অস্তিত্বের ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে  আমরা কোথায়? আমরা কা’রা! খলিল আহমদের কবিতা এভাবেই ধর্ম-দর্শন এবং নানা বৈষয়িক ভাবনায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। একজন জাত কবি হিসাবে তাঁর আতœপ্রকাশ ঘঠেছে‘বর্ণমালার বাংলাদেশ’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে। গ্রন্থের প্রতিটি কবিতাই মর্মস্পর্শী। যেন কবিতাগুলো হৃদয়ের কালিতে সাজানো। আশা করি, প্রতিটি কবিতা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। আমি লেখকের সার্বিক কল্যান ও গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি।
বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল লেখক, প্রকাশক ও সংগঠক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Limon Kabir