রাজশাহী ব্যুরোঃ-
প্রতারক নূরে ইসলাম মিলন দম্পতী কর্তৃক ৫০ হাজার টাকা প্রতারণার পাওনা টাকা উদ্ধার, হুমকি ও শান্তির দাবিতে মিলন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী মোসা: গুলশান খাতুন (১৯)।

রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির চেম্বারে সাংবাদিকবৃন্দ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার স্বামী তোফায়েল আহমেদ আকাশ ও তার বড় বোন নিভা।

ভূক্তভোগী গুলশান খাতুন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, অনুমানিক ১০মাস আগে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন মিয়া পাড়া এলাকার প্রতারক মিলন দম্পত্তী ফাহমিদা আফরিন মৌ (৩৫), স্বামী: নূরে ইসলাম মিলন ও নূরে ইসলাম মিলন (৪০), তার পিতার নাম মৃত মোস্তাক হোসেন ডাবলু। তার মেয়ে কানিজ ফাতেমা রোজা (২১) আমার খুব ভালো বান্ধবী ছিলো। সেই সূত্রে তার মা ও তার বাবা নূরে ইসলাম মিলনকে আমি আমার মা-বাবার চোখে দেখতাম। তাদের পরিবারের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক এবং যাতায়াত ছিলো।

গত (১১জানুয়ারী ২০২২) ২২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা প্রতারণা মামলায় ঘোড়ামারা ভাড়া বাড়ি থেকে মিলনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫, এর সদস্যরা।

এরপর গত (১৮ জানুয়ারী ২০২২) আমার বান্ধবী এবং তার “মা” মৌ আমাকে বলে মা তোমার আংকেলকে জামিন করতে হবে তুমি ৫০ হাজার টাকা ধার দাও। তোমার আংকেলকে জামিনে বের হলে তোমার টাকা পরিশোধ কপা দিবো। তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে আমার মায়ের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সুদে রেখে ২০ হাজার টাকা নিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা বান্ধবীও তার মা’কে দেই।



এরপর মিলন জামিনে মুক্তি পায় গত অনুমানিক ৮/৯মাস আগে। কিন্তু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেনা উল্টা হুমকি দিচ্ছে। বলছে টাকা দিবো না। পারলে উদ্ধার করে নিস। এছাড়াও মারধর করা সহ ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল করবে বলে ম্যাসেঞ্জারে হুমকি দিচ্ছে মিলন, তার স্ত্রী মৌ ও ছেলে শুভ। এদিকে মোটরসাইকেল রেখে নেওয়া ২০হাজার টাকার সুদ বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে। বর্তমানে মিলন ও তার সহযোগীরা মারুফ (৩৫), মোজাম্মেল হক বাবু (৪৫), ও সুমন (৩০), আমার মোবাইল ফোনে ০১৩২১-৫২১৪৭৬, এবং ম্যাসেঞ্জারে আজে বাজে কথা বলে গালি দিচ্ছে এবং মারধরের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। সবমিলে আমি তাদের প্রতারণা ও অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

তিনি আরও বলেন, আমার পাওনা টাকা উদ্ধারে বোয়ালিয় মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন আদালতে মামলা দায়ের করা জন্য।

এ ব্যপারে অন্যায়কারীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের কঠোর হস্তক্ষেপ ও সূদৃষ্টি কমনা করেছেন ভুক্তভোগী গুলশান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!