আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জের মোহনপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে কুপিয়ে জখম, বাড়ীরঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের পশ্চিমহাটি আলাউদ্দিনের বাড়ীতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায়। গুরুতর আহত আলা উদ্দিনের স্ত্রী হাওয়ারুনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হাওয়ারুনের স্বামী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্র জানায়,বৃদ্ধা হাওরুণ ও তার স্বামী আলা উদ্দিন বিশাল বাড়ীতে তারা দুজনই বসবাস করে আসছেন। তাদের সন্তানরা দেশের বাহিরে থাকায় একই গ্রামের মৃত আবু সাঈদের পুত্র জমির আলী, রহমত আলী, মৃত খালিকের পুত্র আবু কালাম ও জমির আলীর স্ত্রী রফিনা বেগমের নজর পড়ে তাদের বাড়ীর উপর। সুযোগ সন্ধানের অপেক্ষায় তারা বসে থাকে এবং প্রায়ই আলা উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাওয়ারুন বেগমকে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিতে থাকেন। তাদের পরামর্শ না শুনায় আসামীরা ক্ষুদ্ধ হইয়া উঠে এবং যে কোন মুল্যে তাদের বাড়ীটি দখল করার পায়তারা করতে থাকে। তারই জের ধরে শনিবার সকালে ব্দ্ধৃ আলা উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাওয়ারুনের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত হাওয়ারুনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তৃব্যরত ডাক্তার জানান, হাওয়ারুনের চোখের অবস্থা খুবই গুরুতর। রোগীর ডান চোখে গুরুতর আঘাতের ফলে প্রচুর রক্ষকরণ হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসা করা না হলে চিরতরে চোখটি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মারপিটের সময় বৃদ্ধ আলাউদ্দিনের ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, র্স্বনালংকার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগকারী আলা উদ্দিন জানান, আমার পাশর্^বতী বাড়ীর সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে আমার বাড়ীটি দখলের পায়তারা করছে এবং প্রায়ই আমাকে বলতো তোমরা বুড়াবুড়ির এত বড় বাড়ীর দরকার কি? তোমার শহরে চলে যাও। তাদের কথা না শুনায় আমাদের উপর আক্রমন চালিয়ে আমার মেয়েদের পাঠানো গাড়ী কিনার জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আমার স্ত্রী’র র্স্বনালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। বর্তমানে আমার স্ত্রীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাচ্ছি। ডাক্তার বলছে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় সুনামগঞ্জ হাসপাতালেই চিকিৎসা করাচ্ছি। আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!