সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
পূর্ব শক্রতার জেরে সুনামগঞ্জের কালিপুর রাস্তায় বাপ ও মেয়ের উপর র্দুবৃত্তরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের নারাইনকুড়ী গ্রামের ( বর্তমানে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মল্লিকপুরে)ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাসকারী মৃত মিছকন্দর আলীর ছেলে কবির মিয়া বাদি হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা এলাকার মাদ্রাসাপাড়ার মৃত মছদ্দর আলীর বখাটে ছেলে হামলাকারী আছাবুল(৪৫)কে প্রধান আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮। বাকি আসামীরা হলের দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে মো. শিপু(২২),সোহেল ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার আমরিয়া গ্রামের রুয়েল।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় মামলার বাদি কবির মিয়া ও তার উপযুক্ত মেয়ে নাহিদা বেগমকে নিয়ে জেলা শহরের কালিপুর হতে নিজ বাসা মল্লিকপুরে যাওয়ার পথে রাস্তায় একা পেয়ে আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে এবং প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এক পর্যায়ে ২নং আসামী শিপুর নির্দেশে প্রধান আসামী আছাবুল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদির মাথা লক্ষ্যে করে বারি মারলে তিনি একটু ছিটকে পড়লে বারিটি হাটুর নিচে পরে মারাত্মক আহত হন। পরবর্তীতে তারা বাদির মেয়ে নাহিদার উপর ও হামলা করে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন পকেটে থাকা ১১ শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত মামলার বাদি কবির মিয়াকে তাৎক্ষনিক সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামী আছাবুলকে প্রায় ১৫দিন পূর্বে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আছাবুল একাধিক মামলার আসামী বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি কবির মিয়া জানান,এই হামলাকারীরা সমাজে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। বাকি আসামেিদর দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!