সাব্বির মির্জা স্টাফ রিপোর্টার

সিরাজগঞ্জের কয়েকটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় বিএনপির প্রায় ৪৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আরো ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে মামলা সংখ্যা ৬ ও আসামি সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে এবং পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আবু সায়েম বাদী হয়ে বুধবার রাতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর নাম উলে­খ করে অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উল্লা­পাড়া মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে পুঠিয়া বাজারে ‍পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসে তারা হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল গিয়ে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে পরদিন বুধবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রব মেম্বর বাদী হয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নাম উলে­খসহ অজ্ঞাত ৮০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে আওয়ামীলীগ নেতা আফাজ উদ্দিন বেপারী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্থানীয় কেজির মোড়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। বুধবার সকালে ওই আওয়ামীলীগ নেতা বাদী হয়ে বিএনপির ২৪ জনের নাম উলে­খ করে অজ্ঞাত ১১৬ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে বেলকুচি থানার ওসি তাজমিলুর রহমান জানান, সোমবার রাতে আদাচাকি গ্রামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর ককটেল হামলা করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা। এ ব্যাপারে পরদিন বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ আহম্মেদ উৎস বাদী হয়ে বিএপি ও ছাত্রদলের ১৩ নেতার নাম উলে­খ করে অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে অনুরূপ ঘটনায় তাড়াশ ও রায়গঞ্জ থানায় বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৩ শতাধিক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তাড়াশ থানার মামলায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলক এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা দিয়ে রাজশাহী ও ঢাকার সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালের মতো জেলার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। তারা আওয়ামীলীগ দলীয় অফিসে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এজন্য তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!