এস,এম,রুহুল তাড়াশী স্টাফ রিপোর্টার।
সমন্ধিত মাছ চাষ পদ্ধতিতে ঝুঁকছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কলা চাষীরা। কয়েক বছর আগেও এই এলাকার পুকুরের পাশের জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকত। বর্তমান পুকুর পাড়ের সেই ফাঁকা জায়গায় গড়ে তুলছেন কলাবাগান। মাছ চাষের পাশাপাশি বাড়তি আয় যোগাচ্ছে
কলা চাষ। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাছ
চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলাচাষে ব্যাপক সাড়া ফেলছেন স্হানীয় মাছ চাষিরা। এলাকায় দিন দিন পুকুর পাড়ে কলা চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে অল্প খরচে বেশি লাভ হয়ওয়া বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকরা মাছ চাষের পাশাপাশি কলা চাষের দিকেও ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে মাছের চড়া দাম না পেলেও কলার দাম কিছুটা ভালো পাওয়ায় বেশি লাভবান হচ্ছেন মাছ
চাষিরা। যেখানে অন্যান্য ফসল চাষ করে
লাভবান হতে পারছেন না স্থানীয় চাষীরা, সেখানে সমন্ধিত মাছ চাষে সফল হচ্ছেন। মাছ চাষে পুকুরের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দিন দিন বাড়ছে কলার বাগান । এ চাষে সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। পুকুরপাড়ের কলা গাছ গুলো বলে দিচ্ছে, বড় কোন প্রাকৃতিক দুযো’গ না হলে চলতি
মৌসুমে কলা বাম্পার ফলন হবে। স্থানীয় সমন্ধিত চাষী সোলায়মান হোসেন( ৫৫)বলেন,আমি পুকুর দুই বছর ধরে কলা চাষ করছি, আগে ভালো লাভ হয়েছে। এইজন্য চলতি বছর নিজের চারটি পুকুরের সব গুলো পারে কলা গাছ লাগিয়েছি। কয়েক মাস পর বাগানের কলা বিক্রি উপযোগী
হবে। বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছে কলার কাদি প্রায় সারা বছরই ফলন দেয়।
আরেক চাষি হযরত
আলী (৬৫) কাছে “কলাচাষ বিষয়ে “জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৪০বিঘা জমি পুকুর বর্গা নিয়ে পুকুর পাড়ে কলার চারা রোপন করেছেন। এই চারা নিয়ে আসতে হয়েছে নাটর জেলা থেকে যা প্রতিটি চারা মৃল্য ২০থেকে ২৫ টাকা। তিনি আরও বলেন, এই চারা পরিচযা’বাবদ ইউরিয়া সার, জৈব সার দিতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছের কলার কাদি প্রায় সারা বছরই কলা দিবে ।
প্রতি কাদি কাঁচা কলা পাইকারি বিক্রি হয় ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় দিন দিন কলা চাষে আগ্রহীদের সংখ্যা বাড়ছে । চলতি মৌসুমে তাড়াশ উপজেলা ১৭ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশী হওয়ায় চাষিরা অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে কলা চাষ করছেন। কলা চাষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদশ’ন করে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন ।