নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতকানিয়া উপজেলার ১০নং কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানী এলাকার মধু দাশের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিশন বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এ বাহিনী চাদাঁবাজি থেকে শুরু করে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদকল, ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়, তেমুহানী এলাকার মিশন দাশ (৪০) দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিশাল কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত লাভ করে। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে ভূমি দখল করে। এলাকার মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। আর এ কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, হৃদয় নামের জৈনিক ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে তাহার সহায় সম্পদ প্রায় কোটি টাকার সম্পতি দখল করে নেন। সেই চিন্তায় অসহায় ব্যক্তিটি ব্রেইন স্টোক করে মারা যায়। সেই সাথে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। তাঁর ঢাকা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রের জীবনে নেমে আসে অনিশ্চিয়তায় ঘোর অন্ধকার। এছাড়াও সন্ত্রাসী মিশন বাহিনী এলাকার বিভিন্ন লোকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে অনেক গরিব অসহায় অশিক্ষিত লোকের সম্পত্তি। জজকোর্ট এলাকায় স্বাক্ষর জালিয়াতি করতে গিয়ে মহামান্য বিচারকের আদেশে মাঠের গাছের সাথে বেধে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়েছিল এই মিশন দাশকে। মামলা আর কোর্টের ভয় দেখিয়ে এখনো নিরীহ জনগনকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন এই বাহিনী। অনেকের বাড়ি অবরুদ্ধ করে এলাকায় চলে মিশন বাহিনীর সন্ত্রাসের রাজত্ব। সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে রাতের অন্ধকারে চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে সম্পত্তির অবৈধ ভোগদখল করা তাদের পেশায় পরিনত হয়েছে। রাতে বেলায় মদ ও জুয়ার আসর বসিয়ে কোন মহত ধর্মীয় স্থাপনা তৈরীতেও বাধা প্রদান করতে একটুও দ্বিধা বোধ করছেনা ঐ মিশন বাহিনী। তাদের এসব অপকর্ম ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, তার হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে সংক্ষুব্ধ জনগণ কথা বলার এবং প্রতিকার চাওয়ার সাহস পায়না। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করা ছিল তাদের দৈনন্দিন বিষয়।
এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী মিশন দাশ হত্যা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এদিকে সন্ত্রাসী মিশন ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবী ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে গণস্বাক্ষরে অংশ নিয়েছে বলে জানাযায়।