জিয়াউল ইসলাম জিয়া চট্রগ্রাম প্রতিনিধি

মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আলী হোসেন মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার/জনাব সামীম কবির এর নির্দেশনায় বিশেষ টিমের এসআই মোহাম্মদ রাজীব হোসেন ও এসআই মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় স্পেশাল টিমের অফিসার এএসআই মোঃ জাহিদুল হক, এএসআই রনি মজুমদার ও সংগীয় ফোর্সসহ ২৫-১০-২০২২ ইং তারিখে চট্টগ্রাম মহানগরের হালিশহর থানাধীন, হালিশহর বি-ব্লক, হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডি কার্ড তৈরী চক্রের সদস্য ০১) মোঃ কামাল হোসেন প্রঃ মোহাম্মদ (রোহিঙ্গা), ০২) পারভীন আক্তার (রোহিঙ্গা), ০৩) মোঃ নুরুল আবছার, ০৪) শামসুর রহমান প্রঃ শামসু মাষ্টার প্রঃ সোনা মিয়া, ০৫) মোঃ ইয়াছিন আরাফাত, ০৬) মোঃ নুর নবী প্রঃ অনিক প্রঃ রাহাত, ০৭) মোঃ মিজানুর রহমান, ০৮) ফরহাদুল ইসলাম, ০৯) ইমন দাশ, ১০) মোঃ কামাল দেরকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এনআইডি কার্ড তৈরীর চেষ্টাকালে আটক করেন।

আটককালে তাদের হেফাজত থেকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরবরাহকৃত এনআইডি কার্ড তৈরির {ফরম-২} এবং জন্ম নিবন্ধন ফরম উদ্ধার করেন। আটককৃত শামসুর রহমান প্রঃ শামসু মাষ্টার প্রঃ সোনা মিয়া (৬০) কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে আটককৃত মোঃ নুরুল আবছারকে সরবরাহ করে। পরবর্তীতে মোঃ নুরুল আবছার বিভিন্ন মাধ্যমে উক্ত রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন পত্র প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশনের সাথে এনআইডি কার্ড তৈরীতে চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ধৃত (৫-৯) নং ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এনআইডি কার্ড তৈরীতে সহায়তা করত।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন বিভিন্ন প্রকার জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডিসহ বিভিন্ন প্রকার ডকুমেন্ট তৈরী করে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত শামসুর রহামন প্রঃ শামসু মাষ্টার প্রঃ সোনা মিয়া (৬০) কক্সবাজার পোকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরীর কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিনি চাকরীচ্যুত হন। ইতিপূর্বে রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরীর কাজে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলা রুজু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!