রেজাউল ইসলাম মাসুদ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

কখনও তিনি প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, কখনোবা তথ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোক সহ অনেক মন্ত্রী-এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলার সদস্য পদে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী মো: গিয়াসউদ্দিন। শুধু তাই নয় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তিনি শতাধিক মোটরসাইকেলে ব্যানার লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা করা, টাকা ছড়ানো ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্য প্রার্থীদের নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পীরগঞ্জ উপজেলার সদস্য পদে দাড়ানো ৬ প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী।

গতকাল বুধবার তাঁরা এসব অভিযোগ এনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগকারিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলার সদস্য প্রার্থী মোঃ মোস্তাফিজার রহমান (হাতি), মোঃ আমির হোসেন (তালা), মোঃ নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), মোঃ মশিউর রহমান (ক্রিকেট ব্যাট), মোঃ মিজানুর রহমান (টিফিন ক্যারিয়ার) ও সুবল চন্দ্র রায় (অটোরিক্সা)।


অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডের (পীরগঞ্জ) সদস্য পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালালেও সদস্য প্রাার্থী মোঃ গিয়াস উদ্দীন (বৈদুতিক পাখা মার্কা) নিজেকে প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেই চলছেন। কখনও তিনি প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, কখনো তথ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোক সহ অনেক মন্ত্রী-এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন, যাতে তারা ভীত হয়ে নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করে। শুধ তাই নয়, তিনি শতাধিক মোটরসাইকেলে ব্যানার লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা করা, ভোটারদের টাকা প্রদান ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্য প্রার্থীদের নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগে আরো জানা যায়, গিয়াসউদ্দীন শতাধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস (কলম ক্যামেরা) ক্রয় করেছেন। যা দিয়ে ভোটের দিন ভোটারদের দিয়ে ভোট কেন্দ্রে পাঠাবেন এবং ব্লুটুথ এর মাধ্যমে তার মোবাইল থেকে তিনি তা দেখতে পারবেন যে, কোন কোন ভোটার তাকে ভোট দিচ্ছেন।

প্রার্থীদের অভিযোগ-উপজেলার ১৪৫ জন ভোটারের মধ্যে তিনি বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। প্রতি ভোটারের পিছনে তিনি এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ ধার্য করা সহ ইতিমধ্যেই অর্ধেক পেমেন্ট করে দিয়েছেন।ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে তাকে ভোট প্রদানের বিয়ষটি নিশ্চিত হওয়ার পর বাকি অর্থেক টাকা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।এছাড়াও তিনি ৬০ থেকে ৭০ ভোটে জিতে গেছেন বলেও প্রচার করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সদস্য প্রার্থী গিয়াসউদ্দীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি কখনোই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীর এপিএস বা লোক হিসেবে পরিচয় দেন বা আচরণ বিধিও লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!