নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে আমেরিকা সফর করার অভিযোগ উঠেছে সৈয়দা মুনিরা ইসলাম নামের এক মহিলার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচনা চলছে সাংবাদিক মহলে। সাংবাদিকতা না করেও তিনি কি ভাবে হলেন আরটিভি’র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, কি ভাবে সংগ্রহ করলেন, পি আই ডি কার্ড, এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাংবাদিকদের মধ্য।
এ নিয়ে শুধু আরটিভি নয় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, যে মহিলা কোনো দিনই কোন স্তরের সাংবাদিকতা করেননি। সাংবাদিকদের কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নন। বাংলাদেশের কোন সাংবাদিকও তাকে চেনেন না। অথচ তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে আমেরিকার ভিসা সংগ্রহ করে আমেরিকা ভ্রমণ করেন কি ভাবে? এর পেছনের মদদদাতাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। নয়তো সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা আরো কমে যাবে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পেশাদার সাংবাদিকদের আরও বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখা যায় সৈয়দা মুনিরা ইসলাম আরটিভি’র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে পি আই ডির এক্রিডিটেশন কার্ড সংগ্রহ করেছেন। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, এক্ষেত্রে তাকে সার্বিক সহায়তা করেছেন তার ভাই সৈয়দ আশিক রহমান। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সেই ক্ষমতা বলেই তিনি নিজের বোনের নামে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমেরিকার ভিসা করিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরটিভির একাধিক সাংবাদিক জানান, সারাজীবন সাংবাদিকতা করেও স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হতে পারলামনা অথচ তিনি সাংবাদিকতা না করেও ভাইয়ের ক্ষমতাবলে সরাসরি স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে পি আই ডি কার্ড করেছেন। এবং সেই কার্ড তিনি অফিসিয়াল চিঠি ইস্যু করে আমেরিকা ভ্রমণও করেছেন।
আরটিভির সাংবাদিকরা আরও জানান, সৈয়দা মুনিরা ইসলাম নামে কোনকালেই আরটিভির কোন রির্পোটার ছিল না। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্ট নয় বহিরাগত যে কোন অ্যাসাইনমেন্ট আমাদের না দিয়ে ঐ মহিলার নামে বিদেশ পাঠানো অত্যন্ত দুঃখজনক।

সৈয়দ আশিক নিজে রিপোর্টার না হয়েও ভুয়া রিপোর্টার সেজে বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং বেশকিছু অ্যাসাইনমেন্টে তিনি ক্যামেরাম্যান সেজে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন স্বয়ং আরটিভিতে কর্মরত সাংবাদিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!