মোঃসিফাত উল্লাহ, বরিশাল বিভাগীয় প্রধানঃ

বরিশালে সংখ্যায় না বিক্রি করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আর কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে তাঁদের অঙ্গীকার করানো হয়।

বুধবার দুপুরে নগরের চৌমাথা বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র এবং সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা। অভিযানে সহায়তা করে র‍্যাব-৮–এর একটি দল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে বরিশাল নগরের বিভিন্ন বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন। এরপর আজ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার তদারকিমূলক অভিযানে নামে। প্রথমে নগরের চৌমাথা বাজারে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ সময় খুচরায় তরমুজ বিক্রেতা মো. সোহাগকে ৫ হাজার, শামীম হোসেনকে ৫ হাজার, মো. মামুনকে ২ হাজার, আবুল কালামকে ১০ হাজার, মিলন মিয়াকে ৫ হাজার এবং জয়লাল চন্দ্রকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছয় ব্যবসায়ী স্বীকার করেন, তাঁরা সংখ্যার হিসাবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করছিলেন। এ সময় ভবিষ্যতে আর এভাবে তরমুজ বিক্রি না করার অঙ্গীকার করেন তাঁরা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র  বলেন, আসন্ন রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা বাড়বে। তখন যাতে খুচরা বিক্রেতারা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে না পারেন, সে জন্য তরমুজের খুচরা বাজারে নজরদারি বাড়ানো হবে।

বরিশালে তরমুজের পাইকারি আড়ত রয়েছে অর্ধশত এবং কোনো আড়তে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয় না বলে দাবি করেছেন বরিশাল ফল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি কার্তিক দত্ত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যেসব খুচরা বিক্রেতা সংখ্যার হিসাবে কিনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন, তাঁরা ক্রেতাদের সঙ্গে অন্যায় করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!