মশি উদ দৌলা রুবেল :
ফেনীর সোনাগাজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহত ১ জন, আহত ১০ জন।
ফেনীর সোনাগাজীতে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের কালা সোবহান মিয়ার বাড়িতে ঘটে।আহতদের মধ্যে শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান নামে একজন মারা গেছেন। নিহত মিজানুর রহমানের স্থানীয় মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসালয় রয়েছে। প্রতিপক্ষের গুরতর আহতরা হলেন মাইন উদ্দিন মামুন,মনোয়ারা বেগম,ছেমনা খাতুন,জসিম উদ্দিন,সবুজ মিয়া,বাবলু,পিয়সি আক্তার ও নিহত মিজানের তিন সহোদর আব্দুল হাই,আবু তৈয়ব,আব্দুল গোফরান। এ ঘটনায় শনিবার আবু তৈয়ব বাদি হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮ জনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।এরআগে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফ উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগম বানু নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।মিজানের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে সোনাগাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আহতরা ও মামলায় অভিযুক্তরা বাড়ি ঘরে তালা মেরে পরিবার পরিজন নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।এ ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারনে হামলার সুচনা নিয়ে ধোঁয়াসা তৈরী হয়েছে। তবে পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন কালা সোবহান বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলেদের সাথে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলেদের দির্ঘদিন ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে অন্তত ৪টি।স্থানীয়রা আরো জানায়,ঘটনার সময় আম পাড়াকে কেন্দ্র করে নিহত মিজানের তিন ভাই আব্দুল হাই,আবু তৈয়ব,আব্দুল গোফরান তাদের দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করেন। এতে প্রতিপক্ষের তিন নারীসহ ৭ জন আহত হয়। পরে আহতরা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সোনাগাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুপুরে নিহত মিজান তার ভাইকে সাথে নিয়ে সোনাগাজী বাজার থেকে ফেরার পথে হামলার কবলে পড়েন।প্রতিপক্ষের হামলায় মিজান মাথায় গুরতর আঘাত পেয়ে সোনাগাজী হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালে রাতেই তার মৃত্যু হয়।নিহতের ভাতিজা মোবারক হোসেন আরিফ জানায়, জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, মাঈন উদ্দিন মামুনেরর নেতৃত্বে ১৫-২০জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন।অভিযোগ অস্বীকার করে সবুজ মিয়া অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনে জানায়, মিজান যখন আহত হয় তখন আমরা সবাই সোনাগাজী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। তার উপর কে হামলা করেছে আমরা জানিনা। তবে মানুষের কাছে শুনেছি আমাদের বাড়ি ঘরে হামলার সময় তার ভাই আব্দুল হাইয়ের অসাবধানতাবসত আঘাতে সে মাথায় জখমপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে তার জন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।