চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

 

দিনাজপুর বিরল উপজেলার ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ইমতিয়াজ কাওছারের ছিনতাই যাওয়া ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ৭ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার এবং পরিকল্পনাকারিসহ ছিনতাই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

 

রবিবার(২৭ নভেম্বর) দুপুর নিজস্ব কার্যালয়ে প্রেস বিফিংএ গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

 

গেল ২৪শে নভেম্বর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছিলেন ছিনতাই চক্রের ১০ সদস্য। অভিযানে একে একে গ্রেফতার হয় ৮ সদস্য। এদের মধ্যে ২জন কলেজ পরুয়া ছাত্র। অন্যরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় জড়িত।

 

পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুর্ব পরিকল্পনামতে ২৪ নভেম্বর শহরের বালুয়াডাঙ্গা মোড়ে ওৎ পেতে ইসলামী ব্যাংকের বিরলের এজেন্ট ইমতিয়াজ কাওছার বাবুর ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা বহনকারি সাইদুর রহমানের মোটর সাইকেলে গতিরোধ করে সব টাকা ছিনিয়ে নেয় ৮ সদস্যের ছিনতাইকারিরা৷ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ কৌশল অবলম্বন করে বিরামপুর উপজেলার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে প্রথমে তারা আটক করেন চক্রের ৩ সদস্যকে। পরে একে একে আরো ৫জনকে আটক করে উদ্ধার করতে পেরেছেন ৭ লাখ ২ হাজার টাকা, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ৩ টি মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন উপকরন।

 

মুল হোতা জেলা সদরের ৬ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা দাবাতুল ইসলাম উজ্জল। তার বিরুদ্ধে আগের অপরাধে ৫ টি মামলা রয়েছে। মূল পরিকরল্পনাকরি সে। তার নের্তৃত্বে ছিনতাইয়ে অংশ নেন অন্যরা। ভাগ বাটোয়ারার টাকায় জুতাসহ বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করেছিল তাদের কেউ কেউ। সব আলামত জব্দ করেছেন তারা।

 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, দিনাজপুর জেলা সদরের ৭ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা মৃত জুলফিকারের ছেলে সজিব আলী বাবু অটোবাইক চালক, ৫ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে শাখাওয়াত সরকার অর্নব ইন্টারনেটের ওয়াইফাই সার্ভিসে কর্মরত, ৩ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা মৃত মোকাররম হোসেনের ছেলে নাদিম মাহমুদ দিনাজপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র, একই এলাকার বাসিন্দা নোর কুতুবুল আলমের ছেলে ফজলে রাব্বি উপশহর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের গার্মেণ্টস বিষয়ে অধ্যায়নরত, মুল পরিকল্পনাকারি দাবাতুল ইসলাম উজ্জ্বল ৬ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা হাবুল সরদারের ছেলে। সে বেকার। তার বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, সুইহারি খালপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মৃত সামছুল আলমের ছেলে রবিউল ইসলাম সুমন বেকার, পুলহাট বাহারপাড়ার বাসিন্দা সামিনুল ইসলামের ছেলে মাইদুল ইসলাম মিঠুন অটো বাইকের মেকার এবং উপশহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম কনকের নিজস্ব ইটভাঙ্গা মেশিন রয়েছে।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম উদ্দিন, সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন, কোতোয়ালী থানার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম তানভীর, তদন্ত ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা শাহ্, ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স বিশ্বনাথ দাশ গুপ্ত, উপ পরিদর্শক বাদল কুমার মন্ডলসহ গ্রেফতার অভিযানে অংশ গ্রহনকারি অন্যান্যরা।

 

জড়িতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আজ রবিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!