রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনামঃ
জনপ্রিয়তার শীর্ষে হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন বাবার মতো মানুষের সেবক হতে চাই, গড়তে চাই স্বপ্নের তাহিরপুর সাংবাদিকের উপর হামলা: চেয়ারম্যান কারাগারে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে প্রশান্তির যাদুকাটার নিরব কান্না” যাদুকাটায় ড্রেজার-শেইভ মেশিনের তান্ডব; বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি  দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলহাজ্ব হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ,, দেশ টিভি’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিক্ষার গুণগত মানে তুলনামূলক এগিয়ে রাধারাণী মহিলা (ডিগ্রী) কলেজ বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশাল কর্মী সমাবেশ সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন। তাহিরপুরে বালুতে পুঁতে শিশু সাকিবুলকে হত্যা, ২৩দিন পর নারী পুরুষসহ আটক ৫

তাহিরপুরের যাদুকাটায় পাড় কাটা বন্ধ হলেও ড্রেজারের তাণ্ডব চলছে

Reporter Name / ২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪

মোঃ আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:

৫০০ একর জায়গা ইজারা নিয়ে যাদুকাটা নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত নদী যাদুকাটার পাড় কাটা বন্ধ থাকলেও বালু উত্তোলনে পরিবেশবিনাশী ড্রেজার ও সেইভ মেশিনের ব্যবহার থেমে নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী, পরিবেশ ও তীরবর্তী মানুষের জীবন। ‘যাদুকাটা-১’ ও ‘যাদুকাটা-২’ বালুমহাল হিসেবে প্রায় ৫০০ একর জায়গা জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে নদীর মিয়ারচর থেকে লাউড়েরগড় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা থেকে বালু ও পাথর তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। তারা বলছেন, সনাতন পদ্ধতিতে হাত, বালতি, বেলচা দিয়ে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে ড্রেজার এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেইভ মেশিন। এসব দিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় গভীর গর্ত করে রাখা হচ্ছে। বর্ষায় মেঘালয় পাহাড়ে ভারি বৃষ্টি হলেই এখনকার গ্রাম, ফসলি জমি ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়বে। এ বছর ‘যাদুকাটা-১’ বালুমহাল ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় রতন মিয়ার মালিকানাধীন সোহাগ এন্টারপ্রাইজ এবং ‘যাদুকাটা-২’ বালুমহাল ৪২ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় খন্দকার মঞ্জুরের প্রতিষ্ঠান আরাফ ট্রেড করপোরেশন লিমিটেড ইজারা নিয়েছে। মোট ৬৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এ দুটি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা দুইজন একসঙ্গে নদীর ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অথচ ২০০৯ সালে পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে সরকার পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। কারণ ফাজিলপুরের যে জায়গা থেকে বোল্ডার, ভূতু পাথর ও নুড়ি উত্তোলন করা হত, ক্রমান্বয়ে সেই জায়গাটিই বিলীন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন পাথর উত্তোলনের জন্য কোনো জায়গা ইজারা না নিলেও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭৭ একর জায়গা থেকে অবাধে তিন ধরনের পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, “যে হারে নদীতে ড্রেজার ও সেইভ মেশিন দিয়ে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, এতে নদী তীরবর্তী গ্রাম-হাওর, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জনজীবন ও জনবসতি বিপন্ন হবে।” সিলেট বিভাগের সাতটি বালুমহলের ছয়টির ইজারা বন্ধ থাকলেও শুধু যাদুকাটার ইজারা চালু রাখা ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই জনপ্রতিনিধি বলেন, “একটি শ্রেণি সুবিধা নিতে এটি চালু রেখেছে বলে আমার মনে হয়। এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম বিলীন হচ্ছে। অবৈধ যন্ত্রে বালু-পাথর উত্তোলনের কারণে সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনকারী সাধারণ শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।” সরজমিনে যা দেখা গেল গত সপ্তাহে যাদুকাটা নদীর পূর্বপাড় লাউড়ের গড় বাজারের পাশে গিয়ে দেখা গেছে, চারটি ড্রেজার মেশিন চালিয়ে পাথর তোলা হচ্ছে। ড্রেজার চালিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বড় গর্ত করা হয়েছে। আর নদীর মধ্যখানে চলছে শত শত সেইভ মেশিন চালিয়ে পাথর উত্তোলন কাজ। এ সময় কথা হয় নদীতে কাজ করা নারী শ্রমিক তারামন বিবি, জয়তুন বেগমের সঙ্গে। তারা জানান, আগে নদীর বালুতে গর্ত করে ‘বাংলা কয়লা’ সংগ্রহ করতেন। কিন্তু ড্রেজার নামানোর পর থেকে আর কয়লা মিলছে না। কারণ ড্রেজার দিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করে পাথর তোলা হয়; এসব গর্তে পানি জমে থাকে। তাই এখন বালু থাকা অংশে ছোট-ছোট গর্ত করে বালু চালুনি দিয়ে নিজেদের জন্য খড়ি (লাকড়ি) তুলছেন। এগুলো বর্ষাকালে স্রোতে ভেসে এসে জমা হয়। কয়লা বিক্রি করে টাকা পাওয়া যেত, এখন নিজেদের জন্য লাকড়ি তুলছেন। একটু দূরে কাজ করা বালু শ্রমিক আকবর আলী বলেন, সেইভ মেশিন দিয়ে গর্ত করে পাথর তোলার কারণে আগের মত ভালো বালু মিলছে না। তারা যারা সারা বছর বেলচা ও হাত দিয়ে বালু তোলেন, তাদের রুজি আগের মত নেই। আর সেইভ মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনে খরচ বেশি। প্রতি সেইভ মেশিন থেকে সারাদিনে এক হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়; ইজারাদারা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ করবে’ বলে এ টাকা তোলে। তারপর নৌকার তেল খরচের টাকা দরকার, সঙ্গে কয়েকজন মানুষও লাগে। আকবর আলী বলছিলেন, “ইতা (এসব) হইচ্ছে (হচ্ছে) ব্যবসায়ীদের কারবার। আমরা শ্রমিক মানুষ এত খরছ কই থাকি যোগার করুম। যার টাকা আছে তার কোনো কষ্ট করতে হয় না। বইয়া তাকি ইনকাম ওয়।” অপর শ্রমিক আলতা মিয়াও জানালেন, ড্রেজার আসার পর সনাতন শ্রমিকরা বিপদের মুখে পড়েছেন। নদীর পশ্চিমপাড়ে শিমুল বাগান এলাকায় এসে দেখা যায়, তীরে বসানো আছে তিনটি ড্রেজার মেশিন; সেখানেও করা হয়েছে বড় গর্ত। এ তিনটি ড্রেজার মেশিনের মধ্যে একটিতে ইঞ্জিনসহ নৌকা রয়েছে, আর বাকি দুটিতে ইঞ্জিন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যখন ড্রেজার চালানো হয়, তখন ইঞ্জিন এনে জুড়ে দেওয়া হয়। কাটা হচ্ছে যাদুকাটার পাড়, গ্রামগুলো হুমকিতে

কোনো কষ্ট করতে হয় না। বইয়া তাকি ইনকাম ওয়।” অপর শ্রমিক আলতা মিয়াও জানালেন, ড্রেজার আসার পর সনাতন শ্রমিকরা বিপদের মুখে পড়েছেন। নদীর পশ্চিমপাড়ে শিমুল বাগান এলাকায় এসে দেখা যায়, তীরে বসানো আছে তিনটি ড্রেজার মেশিন; সেখানেও করা হয়েছে বড় গর্ত। এ তিনটি ড্রেজার মেশিনের মধ্যে একটিতে ইঞ্জিনসহ নৌকা রয়েছে, আর বাকি দুটিতে ইঞ্জিন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যখন ড্রেজার চালানো হয়, তখন ইঞ্জিন এনে জুড়ে দেওয়া হয়। কাটা হচ্ছে যাদুকাটার পাড়, গ্রামগুলো হুমকিতে
বড়গোফটিলার পাশে একটি ড্রেজার মেশিন বন্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। এ ছাড়া ১৬ জানুয়ারি রাতে নদীর পাঠানপাড়া (কেনাবাড়ি) এলাকায় ১২টি ড্রেজার মেশিন চলতে দেখা গেছে। ঘাগটিয়া গ্রামের সামনেও গর্ত করে পাথর তুলতে এবং লাউড়েরগড় গ্রামের অনেকের বাড়ির আঙ্গিনায় বড় বড় পাথরের স্তূপ দেখা গেছে।
বারকি শ্রমিকদের দুর্দিন সনাতন পদ্ধতিতে নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করতেন বারকি শ্রমিকরা। বৈশাখে হাওরের এক ফসলি বোরো ধান কাটার পর হাওরাঞ্চলের কর্মহীন কৃষি শ্রমিকরা বারকি শ্রমিক হিসেবে যাদুকাটায় কাজ করতেন। অনেক বছর ধরেই বেলচা ও বড় চালুনি দিয়ে নদী থেকে নিজ হাতে তারা বালু ও পাথর উত্তোলন করতেন। যাদুকাটার দুর্দিন কাটছে না সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার পঞ্চাশ হাজার বারকি শ্রমিক ছিল এক সময়। কিন্তু ইজারার পর থেকেই যন্ত্র দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলনের শুরু হয়। এরপর থেকেই দিন দিন বেকার হতে থাকেন শ্রমিকরা। যাদুকাটার বারকি শ্রমিক আব্দুল মন্নান (৬০) বলেন, “আগে আমাদের এলাকায় হাজার-হাজার মানুষ আসত কাজ করতে। আমিও ছোট থাকতেই চাচাত ভাইদের সঙ্গে নদীতে বারকি নৌকায় করে কাজে যাইতাম। “যখন থেকে নদীতে ড্রেজার ও সেইভ মেশিন ব্যবহার করা শুরু হয়েছে তখন থেকেই শ্রমিকরা এলাকা ছেড়েছেন কাজের সন্ধানে। অনেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে চলে গেছেন।” আর বর্তমানে বেলচা ও চালুনি দিয়ে নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করা যায় না বলেও জানালেন আব্দুল মান্নান। নদীপাড়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে অবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু কাটার ফলে অনেক স্থান বিলীন হয়ে গেছে। অনেক স্থান রয়েছে হুমকির মুখে। নদীর পশ্চিম পাড়ে আদর্শগ্রাম, জালরটেক, ইসকন মন্দির, গড়কাটি, ঘাগড়া, কোনাটছড়া, সোহালা, ফাজিলপুর, আনোয়ারপুর বাজার ও মাহতাবপুর গ্রাম ভাঙনের মুখে পড়েছে। যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার সময় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার পূর্বপাড়ে লাউড়েরগড়, বিন্নাকুলী, মোদেরগাঁও, মিয়ারচর ও সতিশ গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়েছে এরই মধ্যে। ‘কোনো অভিযান নেই, প্রশাসন নীরব’ একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতি ১২ ঘণ্টায় ড্রেজার চালানোর জন্য ১০ হাজার এবং সেইভ মেশিনের জন্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা নেওয়া হয় ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ’ করার নামে। তবে এই অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে এলাকার ব্যবসায়ী বা কোনো শ্রমিক প্রতিবাদ করলে তাকে আর নদীতে নামতে দেওয়া হয় না।  তারা জানান, একটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনরাতে ২ হাজার ঘনফুট পাথর উত্তোলন করা যায়। ২৪ ঘণ্টা ড্রেজার চালানোর জন্য নদীর ইজারাদারদের ২০ হাজার করে টাকা দিতে হয়। দুই হাজার ঘনফুট পাথরের মধ্যে বোল্ডার (বড়) পাথর মেশিনে ভাঙিয়ে প্রতি ফুট ১১৫ টাকা ধরে বিক্রি করা হয়। ভূতু (বোল্ডার থেকে ছোট) আর সিঙ্গেল পাথর প্রতিফুট প্রায় ১০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বোল্ডার আর ভূতু পাথর আস্ত বিক্রি করা হয় না। এগুলো মেশিনে আগে ভাঙ্গা হয়, তারপর বিক্রি করা হচ্ছে। সেইভ মেশিনে উত্তোলন করা পাথরও একই দামে কেনাবেচা হয়। বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, “দিনরাতে ৪০ থেকে ৫০টি ড্রেজার মেশিন চলে, কয়েক হাজার সেইভ মেশিন চলে। এসব চালানোর জন্য ইজারাদারদের প্রতিদিন টাকা দিতে হয়। এগুলো বন্ধে অনেকদিন ধরে কোনো অভিযান নেই, প্রশাসন নীরব।” তিনি বলেন, “শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী তীরে ৩০ থেকে ৪০ ফুট গভীর গর্ত করছে। নদীর পাড়ে এমন হাজারো গর্ত করা হয়েছে। এবার বর্ষায় যখন পাহাড়ি ঢল আসবে তখন নদী তীরবর্তী হাজার-হাজার পরিবার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারাবে। গত কিছুদিন আগে নদীর পাড় কাটা হয়েছিল অবাধে, পাড় কাটা বন্ধ থাকলেও চলছে ড্রেজারের তাণ্ডব।”  স্থানীয় পরিবেশকর্মী ও বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সারওয়ার ইবনে গিয়াস বলেন, “তিন-চার বছর ধরে ব্যাপক হারে নদীতে ড্রেজার ও সেইভ মেশিন চলছে। ১০ বছর আগে নদী এখন থেকে অর্ধেক ছিল, বর্তমানে নদী দেখে হাওর মনে হয়। এর প্রভাব নদী তীরবর্তী গ্রাম ও হাওরে পড়বে।” অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার রতন মিয়া বলেন, “নদীতে তিনটি ড্রেজার চলছে, তবে এটি নদীর গতিপথ ঠিক করার জন্য। যেখানে বালু জমে নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে আছে সেটি চালু করতে। তিনটি ড্রেজার চালানোর বিষয়ে ডিসি সাহেব জানেন।”
বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইজারাদারা পাথর উত্তোলন করছি না। পাথর উত্তোলন করছে এলাকাবাসী, তাদের বাধা দিলে তারা মানে না। এটি একটি সিন্ডিকেট করাচ্ছে। আমরা কিছুদিন আগে বাধা দিয়েছিলাম, তখন ঝামেলা হয়েছিল।
“এখন পাথর উত্তোলন নিয়ে কিছু বললে তাদের সঙ্গে মারামারি করতে হবে। যারা পাথর উত্তোলন করছেন তারা এসব পাথর গাড়ি দিয়ে সুনামগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা পাথর থেকে কোনো রয়্যালটি নিচ্ছি না।”
অপর ইজারাদার খন্দকার মঞ্জুরের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।ইজারার শর্ত ভেঙে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, “আমি নতুন এসেছি সুনামগঞ্জে। ইজারার শর্ত ভেঙে কোনো কিছু করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নদীতে ড্রেজার ও সেইভ মেশিন চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ রকম কোনো কিছু হলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Limon Kabir