চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের চৌডালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান সহকারী প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান(ইংরেজি এর শিক্ষক) নিয়মিত স্কুলে আসেন না।৪/৫দিন পরপর এসে স্বাক্ষর করে যান। পরে সময় মত এসে বেতন উঠান তিনি। এমন কি নিজে ক্লাস না নিয়ে প্রক্সি দিয়ে চালান।

২৭নভেম্বর রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ে তাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। পরে সহকারীরা ফোন দিলে প্রতিষ্ঠানে আসেন।

তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন মাঝে মধ্যে এরকম হয়। গত দুইদিন বিদ্যালয়ে না আসার কথা স্বীকার করেন তিনি। এবং তিনি আরও বলেন আমার লিখিত ছুটি না নিয়ে মৌখিক বললেই চলে।

এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের তথ্য দিতে নারাজ। এমনকি সাংবাদিকদের তথ্য দিতে হবে বলে তাদের অফিসিয়াল জানা নেই‌ বলে জানান তিনি।

চৌডালা দ্বি মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী (চুটু মাস্টার) জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে স্কুলে নিয়ম মত স্কুলে আসেন না ও ক্লাস নেন না আতাউর রহমান। প্রক্সি দিয়ে চালায় ১০/১৫ দিন পর এসে স্বাক্ষর করেন। তিনি আরও জানান, সে খুব খারাপ লোক এবং এলাকার মানুষ তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।

চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসারুল হক বলেন, অনেক মানুষকে জালিয়াতি মামলা মোকাদ্দামায় অতিষ্ঠ করে রেখেছে আতাউর রহমান। অত্র বিদ্যালয়ে এরকম শিক্ষক থাকলে সামনে আমাদের বিদ্যালয়টি হয়তোবা ধ্বংস হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এই সব শিক্ষক কে সরিয়ে দেওয়া উচিত মনে করেন।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আব্দুল মতিন জানান, আতাউর রহমান একজন সন্ত্রাসী, সে তিনটি মার্ডার কেসের আসামি, জালিয়াতি ও হাঙ্গামা, দাঙ্গামা করাই তার কাজ।
এছাড়াও আতাউর রহমান চৌডালা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। আতাউর রহমান তার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে অনেক জনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চৌডালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হারিজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের বিদ্যালয়ে না আসার ও ক্লাস না নেয়ার কথাটি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!