অনেক জমানো কাজ । বাধ্য হয়ে অনেকে করেন, কিংবা করতে হয় এসব। তাছাড়া বাচ্চাদের দেখশুনা ও অনেক সময় তাকে করতে হয়। তারপর ও সুখ হল তাদের জন্য সোনার হরিণ । অনেকে সংসার করছেন খুব ভালো কিন্তু শাশুড়ি মা কিংবা বড় বোনের শক্ত নজরদারির কারণে বউ বনে যান একজন গোয়েন্দা অফিসার। মানুষ মাত্রই ভুল থাকা স্বাভাবিক কিন্তু তারা নিজেদের ভুল না দেখে লেগে থাকেন বরের ভুল কে ধরার জন্য । আর সামান্য ভুল পেলেই তিলকে তাল বানিয়ে তৈরি করেন মহা সমস্যা আর তার জন্য ঘর করা হয়না আর তাদের । তখন শুরু হয় অনেক জায়গায় ইসলাম বিরোধী কাজ । এটাকে সমাধান না করে খুঁজতে থাকেন নতুন বর । এবং একটা বিয়ের চিহ্ন শেষ হতেনা হতেই করে ফেলেন আরেকটি বিয়ে। তারা মনে করেন আমি যদিআরেকজনকে বৈধতা দিতে পারি আমার পার্টনার কিংবা স্বামীর পরিচয়ে তাহলে আপোষ করব কেন ? এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, অনেক সুন্দর সংসার আর শান্তি। কিন্তু যারা এরকম একটি সংসার ভাঙ্গার কাজে লিপ্ত কিংবা সহযোগিতা করছেন তাদের মনে কিন্তু এই কাজকে অপরাধ হিসাবে মনে হচ্ছে না। তাই এর ধারাবাহিকতা কয়েক যুগ থেকে চলছে। এখানে কমিউনিটির মানুষের মাধ্যমে একটি সরব ক্যাম্পেইন করা দরকার এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে লজ্জা ভুলে আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে, বিশেষ করে এগিয়ে আসতে হবে নির্যাতিত মানুষদেরকে । কারণ তারাই পারবেন মানুষকে আসল বিষয়টি তুলে ধরতে। তখন হয়ত মানব সচেতনতার জন্য এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ সম্ভব হবে । সচেতনতার জন্য আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে,যেমন নির্যাতিত ব্যক্তিদের দ্বারা প্রাথমিকভাবে ভাবে বিভিন্ন সামাজিক টেকনোলোজি কে ব্যবহার করে সবাইকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে । এখানে সবাই তাদের নির্যাতনের কথা বলবেনএবং প্রতিকার ও চাইতে পারেন । পরবর্তীতে তা একজন আইনজীবীর সহযোগিতা নিয়ে এর মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হতে হবে । এভাবে একদিন এটি রূপান্তরিত হবে মহা গ্রুপে । তখন যে কোন অনৈতিক বিষয়ে লড়তে সুবিধা হবে । বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনেকোর্ট পর্যন্ত ও লড়া সম্ভব হবে সকলের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে । আর তখন হয়ত টনক নড়বে এই অন্যায়কারীদের এবং তারা শাস্তির আওতায় আসতে বাধ্য হবে । এই দেশে যে শুধু নারীরা নির্যাতিত হন এটাও ঠিক না । কখনো কখনো নারীরা ও নির্যাতিত হন পুরুষের দ্বারা। সেটা সংখ্যায় কম তাই আলোচনায় আসে না ।ভালোলাগার কথা নারিবান্ধব আইনের কারণে নারীরা তাদের বিচার পেয়ে যান খুব সহজে । এটি একটি শুভ লক্ষণ । কিন্তু যারা এরকম ঘৃণ্য আচরণ করেন নারীদের সাথে তাদেরকে বরাবর এই জাতি শুধরানোর উপদেশ দেয়। আর এই দেশের নারীদের বলবো।আপনাদের কাছে আশ্রিত মানুষগুলির প্রতি আপনারা সদয় হোন । ভাবুন এরা আপনাদের জন্য তার সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছে । তাই তাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা নেই। এজন্য আসুন এদেরকে আমরা একটু ভালোবাসা দিয়ে মনকে প্রফুল্ল করে তুলি। আর আমরা যদি হিংসামুক্ত আর নির্লোভ একটি বৃটেন উপহার দিতে পারি তবে জাতি আমাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে ।

লেখক: আজিজুল আম্বিয়া , প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট ।
azizul.ambya@yahoo.co.uk_

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!