স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সাব্বির হাসান

সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে তারা বিক্ষিপ্তে কিছু দাবি নিয়ে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন। এতে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকে আটকে পড়ে বাসগুলো। এতে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ফটক টপকে বাইরের পরিবহনে শহরে যেতে দেখা যায়।

হুটহাট করে ফটক আটকে অবরোধ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন পরিবহন প্রশাসক।

এদিকে ঠিক কী দাবিতে আন্দোলন চলছে এ ব্যাপারে জানেন না আন্দোলনকারীরাও। একাধিক আন্দোলনকারী একেক রকম দাবির কথা জানিয়েছেন। শুরুতে ইতোপূর্বে প্রশাসনের কাছে দেওয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান।

অন্যদিকে কয়েকজন আন্দোলনকারীর দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। তবে পরে আবার তারা ৪ দফা দাবির কথা জানিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট আটকে আন্দোলন করে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত বলেন, ছুটি, ইন্টারনেট ও সুপেয় পানিসহ শিক্ষার্থীদের কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে শুনেছি। আমরা সব যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন করি। প্রশাসনের উচিত দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুক। পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এভাবে কথায় কথায় গেট আটকানো উচিত না। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!