ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী কে’ ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মুল নেত্রীত্বে দেখা নিয়ে তার কিছু সংখ্যক অনুসারী ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
এই পোস্ট দেয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর রাত ৮ টার সময় জামবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মোস্তাহিদুল ইস্কাই এবং তার কিছু সহযোগী মিলে ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী ও ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলমকে ভোলাহাট থানাধীন বড়গাছী বাজারে বাঁশের লাঠি, আমের ডাল ইত্যাদি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমার কিছু সংখ্যক অনুসারী আমায় নিয়ে ফেসবুকে জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের মূল নেতৃত্বের দেখা নিয়ে কয়েকদিন আগে পোস্ট করে। এর জের ধরে জামবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাহিদুল ইস্কাই আমাকে ১ অক্টোবর রাত ৮ টায় বড়গাছী বাজারে আমার বন্ধু শাহীন আলমকে নিয়ে বড়গাছী বাজারে পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম।

সে সময় মোস্তাহিদুল ইস্কাই ও তার কিছু সহযোগী আমাদের দেখে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে নিয়ে আজেবাজে গালিগালাজ শুরু করে। আমরা নিষেধ করলে আমাদের লাঠি আমের ডাল দিয়ে বড়গাচ্ছি বাজারে বেধড়ক পেটাই। আমরা নিরাপত্তাজনিত কারনে এ বিষয়টা নিয়ে থানায় একটি জিডি করেছি। আশা করছি প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। এবং আমরা জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি আশা করি বিষয়টি অবশ্যই তারাও দেখবেন।

ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম বলেন, আমি ঘটনার দিন আব্দুল কাদের জিলানীর সাথেই ছিলাম ।আব্দুল কাদের জিলানীর কিছু সংখ্যক অনুসারী ফেসবুকে তাকে নিয়ে পোস্ট করলে তার জের ধরেই আমাদের দুইজনকে মাঝ বাজারে সবার সামনে এলোপাতাড়ি মারেন বিষয়টা নিয়ে সিনিয়রদের সাথে আলোচনা করে থানায় একটা জিডি করেছি এবং উপজেলা ছাত্রলীগ, জেলা ছাত্রলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জামবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাহিদুল ইস্কাই মুঠোফোনে বলেন, জিলানী ও সাহীনকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে কোনো বিরোধ হয়নি। বরং তারা আমাদের ছাত্রলীগের ছোট বোনকে উত্যক্তের কারনে শাসন করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা, জেলা নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়েছে আমরা মিমাংসা করে নিবো। এবিষয়ে সাংবাদিক লিখালিখির দরকার নাই।

ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত হোসেন টুইংকেল কে মুঠোফোনে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি তুচ্ছ ঘটনা এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি যত দূর জেনেছি একটা গোষ্ঠী এই ছোট বিষয়টাকে বড় করার চেষ্টা করছে এবং যারা প্রত্যক্ষদর্শী বাজারে উপস্থিত ছিলেন সেই সময় তারাই বিস্তারিত এ বিষয়ে বলতে পারবেন ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাসান হাবিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি জানি যদিও এর আগে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল উভয়পক্ষের সাথে কিন্তু সেখানে হাতাহাতি হয়নি শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। বর্তমান ঘটনাটি যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই দোষীদের প্রতি কঠোর সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের জানানো হয়েছে।

এবিষয়ে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব ইমরান বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী অভিযোগ করেছে। তাদের নিজেদের বিষয় তারা মিমাংসা করে নেওয়ার কথা শুনছি। মিমাংসা না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!