সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে। আবার চলেও যায়। যেমন রাতের পরে আসে দিন। মানুষের জীবনে নিরবচ্ছিন্ন সুখ যেমন আছে, তেমনই আছে কঠিন ও জটিল পরিস্থিতি। তা থেকে আসে হতাশা। সেই হতাশায় অনেকে প্রাণ দিতেও দ্বিধাও করেন না। গত দুই সপ্তাহে কলকাতায় তিন অভিনেত্রী আত্মহত্যাই তার বাস্তব উদাহরণ।

তবে বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের পরামর্শ হলো, জটিল ও কঠিন পরিস্থিতি মাথা ঠান্ডা রেখে মোকাবিলা করতে হবে। সুন্দরী এই নায়িকার জীবনেও খারাপ সময় এসেছে বারবার। তা থেকে বেরিয়েও এসেছেন। নিজের জীবনের সেই উদাহরণই তুলে এনেছেন ক্যাটরিনা। সব ঝামেলা সামলে কীভাবে হাসিখুশি থাকেন, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেটাই জানিয়েছেন নায়িকা।

ক্যাটরিনা জানান, অবসরে তিনি বই পড়েন। নিজেকে সময় দেন। আর ভরসা রাখেন মহাবিশ্বের স্রষ্টার প্রতি। তার কথায়, ‘কেউ তো বানিয়েছেন এই গোটা সৃষ্টিকে! আমি তার হাতেই নিজেকে সঁপে দিতে শিখেছি। মহাজাগতিক বিষয়ে আমি আর মাথা ঘামাই না। শুধু ভরসা রাখি। এমন কোনো চিন্তা করি না, যেটা আমার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।’

কয়েক বছর আগে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ভালো থাকার মতোই খারাপ থাকাও একদম স্বাভাবিক।’ ক্যাটরিনা সে কথা সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছে আলিয়া। আমরা সহজেই ভেঙে পড়ি। ভাবি এই বুঝি সব শেষ।’

 

অভিনেত্রীর পরামর্শ, এত ভাববেন না। উদ্বেগ কাটিয়ে নিজের ছন্দে ফেরার একটাই পথ, ‘নিজের সঙ্গে থাকুন। এই মহাবিশ্ব আপনার খেয়াল রাখে।’

২০০৯ সালে ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ ছবিটি করতে গিয়ে অভিনেতা রণবীর কাপুরের প্রেমে পড়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। বেশিদিন টেকেনি সে সম্পর্ক। দীপিকা পাড়ুকোনের প্রেমে পড়ে ক্যাটরিনাকে ছেড়েছিলেন রণবীর। তখন বেশ হতাশায় ভুগেছিলেন ক্যাটরিনা।

এছাড়া ফিল্মি ক্যারিয়ার নিয়েও একাধিক বার কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন এই নায়িকা। কিন্তু কোনো পরিস্থিতিই তাকে কাবু করতে পারেনি। সব হতাশা কাটিয়ে তিনি নিজেকে ঠিকই মেলে ধরেছেন। অতীতের প্রেমের দুঃস্মৃতি ভুলে এখন আবার অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে চুটিয়ে সংসারও করছেন। যারা হতাশায় ভোগেন, তাদের জন্য একটি পাঠ ক্যাটরিনার জীবন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!