সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়,ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে দিনব্যাপী অনশন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।

শনিবার সকাল ১১টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার যৌথ আয়োজনে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিণার প্রাঙ্গণে এই অনশন কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা থেকে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন।

বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সুৃনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি দীপক ঘোষের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এড.বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. মলয় চক্রবর্তী রাজু,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড.বিমান কান্তি রায়,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,প্রচার সম্পাদক বিপ্লব কান্তি তালুকদার,জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড.গৌরাঙ্গপদ দাস,জাতীয় পরিষদের সদস্য শুভ ব্রত বসু,মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিলা বসু,পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ সভাপতি স্বপন কুমার দাস,পৌর কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী,শান্তিগঞ্জ পূজা কমিটির সভাপতি জ্যোতিভূষন তালুকদার ঝন্টু,স্বপন দাস,বলাই এস,চন্দন রায়,শিশির তালুকদার,প্রসেজিৎ নন্দী,লিটন দেব,বিধান চন্দ্র দাস,প্রান গোপাল দেব,সুজিত দেব,সীতাংশু তালুকদার চিনু,এড. রাধাকান্ত সূত্রধর ও শিক্ষক পিনাকচন্দ্র দাস প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দরা বলেন,১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ২০১৮ সালে জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল সরকার গঠন করতে পারলে তারা দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ও আদিবাসীদের জন্য সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন,বৈষম্য বিলুপ আইন,দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন,জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন,অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যপর্ণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন,পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবী বাস্তাবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্ত বর্তমান সরকারের তিনবছরের শাসনামলে ও এই ৭দফার মধ্যে একটি দাবী ও বাস্তবায়ন হয়নি। অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের এই ৭দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখালঘুরা তাদের বুঝেশুনেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। তারা বলেন,এই দেশটি স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন একক গোষ্টি রক্ত দেয়নি। এই স্বাধীনতার জন্য হিন্দু.মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ রক্ত দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছিলেন। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমঅধিকার প্রতিষ্টার কথা সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন সময়ে দেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়ে আসছেন। এই দাবী মানা না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার ও হুশিয়ারী দেন অনশনে অংশগ্রহনকারী নেতারা। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!