
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও হয়রানী অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ পৌরসভার কোহিত গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মো: জাহিদুল ইসলাম (ঝন্টু) গত রোববার বিকেলে ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি গত ০২/০৭/২০২২ ইং তারিখে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় আমার বড় বোন মোছা: শারমিনা খাতুন মিনা কে নিয়ে অত্যন্ত মুমুর্ষ অবস্থায় তাড়াশ সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সীতে নিয়ে যাই। ইমারজেন্সীতে নিয়ে যাওয়ার পর আমি সেখানে কোন মেডিক্যাল অফিসারকে খুজে পাই না। সেখানকার কর্তব্যরত স্যাকমো আমার বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন। আমি হাসপাতালে ভর্তির জন্য ইমারজেন্সীতে একটি ষ্টেচার চাইলে তারা আমাকে বলেন ষ্টেচার আউটডোরে আছে দেখেন। আউটডোরে গেলে বলেন ইমারজেন্সীতে আছে দেখেন। আবার ইমারজেন্সীতে গেলে বলেন তিনতলায় যান। তিনতলায় গেলে বলেন আউটডোরে যান। তাদের এই হয়রানীমুলক আচরন দেখে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে যাই, সেখানে গিয়ে আমি তাকেও পাই না। অন্যন্য রুমে গিয়েও কোন প্রতিকার পাইনা। অবশেষে আমি অটোভ্যান ভাড়া করে তাদিয়ে আমার বোনকে নিয়ে ইমারজেন্সী থেকে আউট ডোরের সামনে আসি। সেখানে আসার পর আমি যখন অটোভ্যান নিয়ে হাসপাতালের তিনতলায় যাওয়ার চেষ্টাকরি, তখন একজন সাধারন মানুষ একটি ভাঙ্গা ষ্টেচার আমাকে খুজে এনে দেন। তাদিয়ে আমার বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করাই তখন অন্যান্য ভর্তি রোগীরাও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা: মো: মনোয়ার হোসেনের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঐ দিন হাসপাতালে ছিলাম কিন্তু বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকার কারনে আমার রুমে ছিলাম না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবাউল করিম লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।