
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চার বছরের এক শিশুকে মুখ, গলা ও পা বেধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একজন স্কুল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই কামারখন্দ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে সোমবার (১ আগস্ট) অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ।
অভিযুক্ত উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের খামার বড়ধুল গ্রামের বাসিন্দা। সে বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শনিবার বিকালে উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের খামার বড়ধুল গ্রামের পাট খেতে শিশু নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে শিশুটি বাড়ির পাশে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে ওই শিশুকে একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে প্রথমে শিশুটির পা বাধার পর শিশুটি কান্না করতে থাকলে তার মুখে বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে শিশুটির মা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এসময় অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে তার মা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার বাড়িতে আমার মেয়ের সমবয়সী কেউ না থাকায় অভিযুক্তর বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে আসে। ঘটনার দিন বিকালে খেলতে আসলে খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পাট ক্ষেতে নিয়ে হাত,পা, মুখ বেঁধে ধর্ষণ চেষ্টা করে অভিযুক্ত। পরে মেয়ের মা গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার দিন রাতেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কামারখন্দ থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান কবীর বলেন, ‘খামার বড়ধুল গ্রামে শিশু নির্যাতনের ঘটনার দিন শনিবার রাতে ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি ওসি স্যার আমাকে দিলে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আবার ওসি স্যারকে অবহিত করি।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের বিষয়টি রবিবার বিকালে আমাকে কামারখন্দ থানার ওসি জানিয়েছেন। তাকে এঘটনায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।