ব্যুরো চীফ, রাজশাহী :

গত ১৮/০৭/২০২৩ ইং মঙ্গলবার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করাই রাজশাহী চর মাজারদিয়াড়ে কৃষক আবু সাঈদ (৩৯) নিহতর ঘটনায় ১৩ মাদক কারবারির নামে ও ৫ জন অজ্ঞত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত কৃষক আবু সাঈদের স্ত্রী বিথী বেগম। মামলার হুকুমের আসামি কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে জামিন নিয়েছে মামলার এজাহার ভক্ত
১০ নং আসামি মোঃ হুমায়ুন জামিনে এসে মামলার
বাদী নিহতর স্ত্রী ও পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিহতর পরিবার অসহায় নিরাপদ হীন নিহতের পরিবারে সদস্যরা।

আরএমপি দামকুড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ সেদিন রাতে চর মাজারদিয়াড়ে অভিযান চালিয়ে ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চরমাজারদিয়াড় এলাকার আজিমুলের ছেলে সুজন ও আসু মন্ডলের ছেলে সাহেব আলী এবং ভারতীয় নাগরিক মইদুল ইসলাম। মইদুল ভারতে ২ হত্যা মামলার পলাতক অসামী এবং সাঈদকে হত্যা কান্ডের অস্ত্র যোগান দিয়েছে এবং ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন নিহতর পরিবার।

মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে চর মাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামে সাঈদের বাড়ি থেকে তার বন্ধু মোস্তফাকে মটোরসাইকেলে করে হাড়ুপাড়া গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে রাখতে যায়। তার বন্ধুকে বাড়িতে রেখে সাঈদ মটোরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সাঈদ বাইক নিয়ে চর মাজারদিয়াড় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে রাত ৯ টার দিকে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা হাসুয়া, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে চারিদিকে ঘিরে ফেলে সাঈদকে। এসময় চরখানপুরের শাজাহানের ছেলে জামালের নির্দেশে প্রথমে হাসুয়া দিয়ে মৃত সোবহানের ছেলে সাজেমুল সাঈদের মাথায় আঘাত করে এবং পায়ে গুলি করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সাঈদ।

এসময় মৃত সোবহানের ছেলে ইব্রাহিম, মহিউদ্দিনের ছেলে এনামুল, সাহেব আলীর ছেলে হোসাইন ও জাহিদুল, রমজানের ছেলে রাজীব, আলেফের ছেলে আলমগীর, কামাল মোল্লার ছেলে কাবিল ও শামসুল, নবাবের ছেলে হুমায়ন, চর মাজারদিয়াড় স্কুলপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ঘোষের ছেলে শাহিন, আজিমুলের ছেলে সুজন, চরখানপুরের জামালসহ অজ্ঞত ৫ থেকে ৬ জন সাঈদকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে ঘটনা স্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে গুরতর জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সাঈদকে উদ্ধার করে দ্রুত রামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করালে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহতর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে বিকেল ৪ টার দিকে চর মাজারদিয়াড়ে নিহতর জানাজার নামাজ শেষে মাজারদিয়াড় গোরস্থানে দাফস সম্পন্ন করা হয়।

দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, নিহত কৃষক সাঈদের স্ত্রী থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার দিন রাতেই মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় সকালে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতো এক ভারতের নাগরিককে জনতা আটক করে থানা পুলিশে দিয়েছে। অন্যান আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: