মোঃ মাহবুব আলম,চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

চট্টগ্রাম জেলার গ্রাম পাড়া মহল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে শুরু হয়েছে সমিতির সাইন বোর্ড টানিয়ে সুদের রমরমা ব্যবসা। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এলাকায় দোকান ঘড় ভাড়া নিয়ে আবার বাড়িতেই অফিস বানিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সুধের ব্যবসা। সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায় চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন জাগায় রয়েছে প্রায় ১৫থেকে ২০ হাজারে মতো বিভিন্ন নামে মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড / শ্রমজিবী কোঃ অপরেটিভ সোসাইটি লিমিটেড আবার আছে কর্মজীবী কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিঃ বেশি সমিতি বা মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির এই ১৫ ৷শুধু উদাহরণ। চট্টগ্রাম জেলায় এমন কোন পাড়া মহল্লা গ্রাম নেই যেখানে দুইচারটি এরকম সমবায় সমিতি মাল্টিপার্সের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান সমতির নামে কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সমবায় অফিস থেকে একটি সমবায় নিবন্ধন লাইসেন্স নিয়ে গবীর মানুষকে রক্ত চুষে খাওয়ার অফিস নেই।এইসব সমিতি নামে সমিতি হলেও করছেন জনগণের মাঝে ঋণদান ব্যাংকের মতো টাকা জমা নেওয়া দেওয়া,করাচ্ছে ডিপিএস এফডিআর সহ সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম। অথচ এগুলো অনুসন্ধান করে জানাগেছে তাদের ঠিকমত সমবায় সমিতি পরিচালনারও ডকুমেন্ট ঠিকনেই।আর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ কয়েকটি মন্ত্রনালয়ের যে অনুমিত লাগে এইসব কথা তারা জানেনা। খবর নিয়ে দেখলাম একটি সমবায় সমিতির ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে আন্ডার ম্যাট্রিক পাশ, ক্যাশিয়ার ৮ম শ্রেনী পাশ আর মাঠ কর্মী ৫ম শ্রেনী পাশ কোথায়ও আবার বাড়ির গৃহীনি এই কাজে ব্যাস্ত।সাইন বোর্ড টানানো খোজ নিয়ে দেখাগেল সমবায় অধিদপ্তরের এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কোন অনুমোদনই নেই। আবার অনেক সমিতি আছে যাদের কোনো কাগজ পত্রও নেই। এসব সমিতি সাধারন মানুষকে লাভ দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন সঞ্চয় আদায় করছে আর সাধারন মানুষকে ৫হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋন দিয়ে ২৫% থেকে ৩০ % পর্যন্ত সুদ নিচ্ছে। ঋন দেওয়ার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে সিকিউরিটি হিসেবে রাখছে ব্লাংক ষ্ট্যাম্প, ব্লাংক চেক, জমির দলিল, বাড়ির দলিল। সুধে আসলে টাকা না পেলে এইসব কাগজগুলো দিয়ে শুরু করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃুষ্টি করে।অনেকেই সাংবাদিকদেও জানালেন গরীরমানুষ ঋনের টাকা দিতে না পারায় শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে নিয়মিত।

সমিতি পরিচালনার জন্য নিজেদেও বাড়ির লোকজনকে নিয়ে একটি কসড়া ও মনগড়া কমিটি সাজিয়ে নিজেদের পুজি বিনিয়োগ করে চালাচ্ছে রমরমা সুদের ব্যবসা। আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিটি ইউনিয়নে দোকান বাড়ী ভাড়া নিয়ে সমবায়সমিতি বা মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি নামে বিভিন্ন সঞ্চয়ী প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সেখানে সাধারন মানুষের কাছ থেকে দৈনিক আদায়ের জন্য একটি বই দিয়ে একাউন্ট খোলা হয় অবৈধ বেআইনী এইসব অনুমোদনহীন মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি। গ্রাহকের হাজার দশেক টাকা একাউন্টে জমা সঞ্চয় জমা হওয়ার পর তাদের বিশ/ পঁচিশ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয় বিভিন্ন স্টাম্প চেক তিনজন জামিনদার নিয়ে। সঞ্চয় আইনেও অবৈধ ভাবে ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠান গুলি। নাই কোন ব্যাংকের মানি লেনদেন অবগত করন কাগজ। ওভার রুল অব ব্যাংক ল’ এর কোন তোয়াক্কাই করেন না তারা।এছাড়া লোন দেওয়ার সময় ষ্ট্যাম্প বাবদ, কম্পিউটার কম্পোজ বাবদ, মোহরী লেখা বাবদ ফি ৪০০/৬০০ টাকা কেটে রাখে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভূক্তভোগী জানালেন, সুদ যোগ করে যে কিস্তি সাধারন মানুষকে ধার্য করা হয় তা নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারলে অশোভন আচরন করে এমন কি বাড়ি জমির দলিল, গহনা নিয়ে আটকে রাখে। বাড়িতে মেয়ে ছেলেদের সাথে গালিগালাজ করে। আমার এলাকায় এরকম মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির একজন পরিচালক জানান পরিচালনা করলেও , আমি এখনও অনুমোদনের জন্য আবেদনই করেছি মাত্র । তিনি বলেন, সদস্য সংগ্রহ শুরু করে ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের পাশের কয়েকটি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালকের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিককে কোনো তথ্য দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। অফিসের ম্যানেজার সাংবাদিকদের বলেন যা পারেন লিখেন সমস্যা নাই। আমরা সমবায় অফিসের লোক ম্যানেজ করেই সমিতি চালিয়ে যাচ্ছি। চট্র গ্রাম উপজেলা সমবায় অফিসার সাংবাদিকদেও জানান, আমাদের রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠানই অবৈধ। তারা কোন প্রকার কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারবে না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন আপনাদের অনুমোদিত সমবায় সমিতির বেশীরভাগই অবৈধভাবে সঞ্চয়ের নামে সুদের ব্যবসা করছে , এটা সম্পর্কে কিছু বলেন ? উত্তরে তিনি জানান আমাদের কাছে নিদ্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই, তাই আমরা বিষয়টা আপনাদের কাছ থেকেই শুনলাম।

বিষয়টি খতিয়ে দেখবো আরো জানান, অনুমোদন ছাড়া কেই ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকগুলো সমিতির পরিচালক জানালেন সমিতির সাইনবোর্ড টানিয়ে সুদের ব্যবসা এটাতো এখন প্রতিটি মহল্লায় চলছে এটা আবার কেমন সংবাদ। নামে বেনামে ভুয়া মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি ও এনজিও সাধারন মানুষকে মোটা অংকের টাকা লাভ দেখিয়ে অর্থ কালেকশন করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে এরা মানুষের টাকায় অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। মাল্টিপারপাস কোআপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে একাধীক পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । প্রশাসনের দৃষ্টি আড়াল করে এসব প্রতিষ্ঠান নানান কৌশলে সাধারন মানুষের কোটি কেটি টাকা আত্মসাৎ করছে বিভিন্ন জায়গায়, খোদ চট্রগ্রাম রুপসা নামের একটি এধরণের প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছর আগে অতি মোনাফার লোভ দেখিয়ে ফিল্ডে লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উদাও হলে পরে কয়েকজন গ্রাহক মিলে আইনে আশ্রয় নেওয়ায় মামলা হয়েছে। আমার আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ লাখ লাখ জমা দিযে এখন নিঃস্ব হয়েছে এর থেকে সবাই প্রতিকার চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!
%d bloggers like this: