
বি. এম. আশিক হাসান, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
গাজীপুর টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী পরিবার শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র পরিবার। এ পরিবারের খ্যাতি বিনাশ করতে একটি কু-চক্রী মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সোমবার টঙ্গীর ত্রাস শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির পরিবার ও স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁরা বলেন ষড়যন্ত্র সবসময়ই হয়, কিন্তু নির্বাচন আসলে বেশি হয়।মিথ্যা ষড়যন্ত্র সমাজে কখনো কাম্য নয় বা কেউ সমর্থন করে না। গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির স্নেহভাজন ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী রাজনীতির এক নক্ষত্র! অতি সাধারন একজন মানুষ, মানুষের সেবা ও আওয়ামী রাজনীতির জন্য তার দু-বেলা খাবার খেতে হয় বাহিরে। তিনি ইচ্ছা করলে অন্য নেতাদের মত ফাইভস্টার হোটেলে দুপুর অথবা রাত্রের খাবার খেতে পারেন, তিনি শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের আদর্শ মেনে চলেন শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার যেমন অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন তার রাজনৈতিক ইতিহাস দিকে তাকালে দেখা যায় আর্থিক সংকটের কারণে তিনি দুপুরে ভাত না খেয়ে শুধু মুড়ি খেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পার্টী অফিসে কার্যক্রম চালাতেন ঠিক তদ্রূপ মতিউর রহমান মতি সাধারণ মানুষের মত নতুন বাজার পার্টি অফিসে মিটিং শেষ করে সাধারণ হোটেলে কোন দুপুরের খাবার শেষ করেন এবং রাতের বেলায়ও সাধারণ কোন হোটেলে পরোটা ডাল ভাজি দিয়ে খাবার শেষ করেন। কিন্তু একটি কু-চক্রী মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে ফাটল ধরাতে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁদের নামে মিথ্যা সংবাদ ( টঙ্গীর ত্রাস শিরোনামে) প্রকাশ করা হয়েছে হাজার কোটি টাকার মালিক? গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মতিউর রহমান মতি ৭৫ পরবর্তীতে টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক এর দ্বায়িত্ব পালন করেছেন, ৮০ দশকে টঙ্গী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের প্রথম নির্বাচনে ছাত্র সংসদের জি এস নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৮৭-৮৮সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের ১নং সহ সাধারন সম্পাদক মনোনিত হয়েছিলেন- ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় গাজীপুর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ এর আহবায়ক মনোনিত হয়েছিলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নবগঠিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম- সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন, দুঃসময়ে দলকে সুসংগটিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন জনাব মতিউর রহমান মতি। তিনি ২০০৪ সালে বিএনপি চারদলীয় জোট সরকার এর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি কে হত্যা করা হয় সে দিন দুপুরে,: গাজীপুর তথা সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অগ্নিরূপ ধারণ করে সারা বাংলাদেশকে অচল করে দিয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি সরকার বাধ্য হয়ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির হত্যার মামলাটি দ্রুত ট্রাইবুনালে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়, আর সেই মামলার বাদী জনাব মতিউর রহমান মতি। তৎকালীন সময় মামলাটিকে বাঁধাগ্রস্থ করতে কয়েকবার জনাব মতিউর রহমান মতির প্রাণনাশের চেস্টা চালাই ,তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার জনাব মতিউর রহমান মতির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, তাঁকে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স সহকারে একটি অস্ত্র প্রদান করেন,যা তিনি সবসময় নিজের আত্মরক্ষার জন্য সাথে সংরক্ষন করেন। এ ছাড়াও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় ও জননন্দিত কাউন্সিলর জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম নুরু এর নামেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। ৪৬ নং কাউন্সিলর জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম নুরু বাপ দাদার আমল থেকেই জমিদার। তাঁর বাবার টঙ্গীতে প্রায় একশত বিঘা সম্পত্তির মালিক,তাঁর নিজের একাধিক গাড়ী, বাড়ী এবং মিল ফ্যাক্টরী রয়েছে। মন্ত্রী পরিবার ও কাউন্সিলর এর পক্ষ থেকে এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।